সুতপা খুনের পিছনে আসল কারণ কি? পুলিশি জেরায় মুখ খুলল ঘাতক সুশান্ত চৌধুরী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত 2 রা মে বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকায় একটি মেসের বাইরে কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনা সামনে আসার পরই শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পরবর্তীকালে অবশ্য সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে তার প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর পুলিশের হাতে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এদিন বহরমপুর সিজেএম আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তকে। এরপরই উভয় পক্ষের দ্বারা দলিল পেশ করার পর সুশান্ত চৌধুরীকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। গত বৃহস্পতিবারও আদালতের পক্ষ থেকে দু দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় অভিযুক্ত যুবককে আর এদিন ফের একবার তাকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হলো।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, তাদের জেরায় নিহত সুতপা চৌধুরীর বাবা-মার উপর ক্ষোভ উগরে দেয় সুশান্ত চৌধুরী। দিনের পর দিন ধরে সুশান্তের উপর মানসিক ভাবে অত্যাচার করত নিহত ছাত্রীর পরিবার আর সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত তার প্রেমিকাকে খুন করতে বাধ্য হয় অভিযুক্ত।

প্রসঙ্গত, বহরমপুর গোরাবাজার এলাকায় একটি মেসের বাইরে খুন হয় তৃতীয় বর্ষের কলেজ পড়ুয়া সুতপা চৌধুরী। মেসের বাইরে ছাত্রীর ওপর ছুরি দিয়ে বীভৎস হামলা চালায় সুশান্ত। শরীরে একাধিক বার ছুরির আঘাতের ফলে শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় সুতপার। পরবর্তীকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে স্থানীয় থানার পুলিশ। এরপরই মৃতার পরিবার সুশান্তের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তোলে। সুতপার বাবা জানান, “সুশান্ত আমার মেয়েকে বিরক্ত করে চলছিল। সুতপা ওকে এড়ানোর জন্য বারবার নম্বর বদলালেও প্রতিবারই নতুন নম্বরের সন্ধান করে নিত সুশান্ত।” এক্ষেত্রে অভিযুক্তর সঙ্গে সুতপার কোনো এক বান্ধবীর যোগসূত্রেরও অভিযোগ করেন মৃতার বাবা।

যদিও তাদের সেই দাবি উড়িয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন সুশান্তের পরিবার। সুশান্তের পিসি বলেন, “সুতপাই ওকে (সুশান্ত) বিগড়ায়। ওদের সম্পর্ক ভেঙে গেলেও মাঝেমধ্যে সুশান্তকে ফোন করে ডাকতো সুতপা।” তবে বর্তমানে পুলিশের কাছে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি এই মামলাকে নতুন এক দিক দিলো বলেই মনে করছে সকলে।

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর