বিধির বিধান, সুশান্ত বিচার পাবেনই, মুখ খুললেন প্রয়াত অভিনেতার দিদি

বাংলাহান্ট ডেস্ক: আড়াই বছর পার। সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput) এখনো প্রাসঙ্গিক। অতিমারির বছরেই ঝড়ের মতোই এসেছিল দুঃসংবাদটা। ১৪ জুন বান্দ্রায় এক বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে উদ্ধার হয় সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ। তারপর এক বছর ধরে টানাপোড়েন, বিতর্ক, আত্মহত্যা না খুনের দোলাচলে কেটে যায়। আড়াই বছর পরে এখন হঠাৎ করেই সেই বিতর্ক ফের তুঙ্গে।

প্রয়াত সুশান্তের ময়না তদন্ত করেছিলেন যিনি, কুপার হাসপাতালে কর্মরত সেই রূপকুমার শাহ সম্প্রতি এক বিষ্ফোরক দাবি করেছেন। সুশান্ত নাকি আত্মহত্যা করেননি, খুন করা হয়েছিল তাঁকে! দেহ দেখেই সেটা বুঝে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের চাপে কিছুই বলতে পারেননি। বিতর্কে আরো ধুনো দিয়ে এবার মুখ খুললেন সুশান্তের দিদি।

sushant murder

প্রয়াত অভিনেতার দিদি শ্বেতা সিং কীর্তি তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘জাস্টিস ফর সুশান্ত সিং রাজপুত’ হ্যাশট্যাগ শুরু করেছিলেন। বারে বারে সরব হয়েছেন ভাইয়ের মৃত্যুর বিচারের জন্য। এবারেও তিনিই মুখ খুললেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শ্বেতা লিখেছেন, ‘এই খবরে যদি এতটুকুও সত্যতা থাকে, আমরা সিবিআইয়ের কাছে আর্জি জানাই, বিষয়টা খতিয়ে দেখতে। আমরা সবসময় বিশ্বাস করেছি আপনারা সঠিক তদন্ত করে আমাদের সত্যিটা জানাবেন। এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান না পাওয়ায় আমাদের হৃদয় ব্যথিত।’

সুশান্তের আরেক দিদি মিতু সিংও মুখ খুলেছিলেন এ ব্যাপারে। তাঁর মতে, যখন সুশান্তের মামলাটা ঝিমিয়ে পড়ে তখনি কোনো না কোনো বড় প্রমাণ প্রকাশ্যে আসে। তিনি বলেন, সুশান্ত বিচার পাবেই, এটা বিধাতার ইচ্ছা। তাদের পরিবার শুধু এটাই চায় যে সুশান্তের সঙ্গে কী হয়েছিল সেটা যেন জানা যায়।

Sushant 3

সুশান্তের ময়না তদন্তকারী জানান, সুশান্ত যেদিন মারা যান সেদিন একসঙ্গে পাঁচটি মৃতদেহ এসেছিল কুপার হাসপাতালে। তার মধ‍্যে একটি ছিল ভিআইপি বডি। ময়না তদন্ত করার সময় চিকিৎসকেরা জানতে পারেন যে সেটা সুশান্তের মরদেহ। তিনি দাবি করেন, প্রয়াত অভিনেতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। দু চারটে দাগ ছিল তাঁর গলাতেও।

সুশান্তের মৃতদেহ দেখা মাত্রই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন যে ওটা আত্মহত‍্যার ঘটনা নয়। সুশান্ত খুন হয়েছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে নিজের সিনিয়রদের জানিয়েছিলেন। নিয়ম মেনেই সবটা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাধা পান তিনি। তাঁকে বলা হয়, শুধুমাত্র কয়েকটা ছবি তুলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিসের হাতে দেহ তুলে দিতে। এত গোপনীয়তার জন‍্যই ময়না তদন্ত রাতে হয়েছিল বলে জানান চিকিৎসক।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর