বাংলাহান্ট ডেস্ক: মাত্র ৩৪ বছর বয়সে চলে গেলেন সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput)। ফের এক নক্ষত্রপতন হল বলিউডে (bollywood)। এমন এক প্রতিভার অবস আনে শোকগ্রস্ত গোটা অভিনয় জগৎ। তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে একটা গোটা দিন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু নিয়ে চর্চা এখনও অব্যাহত রয়েছে। নানা মুনি নানা মত পেশ করছেন এই প্রসঙ্গে। অনেকেই বলছেন, অর্থ যশ সবকিছু থাকা সত্ত্বেও কেন এমন পথ বেছে নিলেন সুশান্ত।
এবার ভাইরাল হয়েছে সুশান্তের এমন একটি কমেন্ট যার জন্য অভিযোগের তীর ঘুরে গিয়েছে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির দিকে। ভাইরাল হওয়া ওই কমেন্টে দেখা গিয়েছে, একজন অনুরাগী মন্তব্য করেছেন, ছবিতে সুশান্তের চরিত্রের ফের মৃত্যু দেখাবে তাই তিনি ছবি দেখবেন না। উত্তরে অভিনেতা লেখেন, ‘আরছ যদি তুমি ছবিটা না দেখ তাহলে ওরা আমাকে বলিউড থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে। আমার কোনো গডফাদার নেই তাই আমি তোমাদের সবাইকে আমার গড ও ফাদার বানিয়েছে। যদি চাও আমি বলিউডে টিকে থাকি তাহলে অন্তত একবার ছবিটা দেখ।’
This was #SushantSinghRajput
Bollywood failed him. pic.twitter.com/FudKDOcbmE— Faad Dunga BC (@naalaYUCK) June 14, 2020
https://twitter.com/I_Me_Raj_/status/1272171517363671040?s=19
সুশান্তের এই পুরনো কমেন্ট ভাইরাল হতেই নতুন করে উসকে দিয়েছে বলিউডের নেপোটিজম বিতর্ক। তারকা হেয়ার স্টাইলিস্ট স্বপ্না ভাবনি এম এস ধোনি ছবিতে সুশান্তের হেয়ার স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। অভিনেতার মৃত্যুতে তিনি বলেন, এটা বলিউডের কাছে কোনো রহস্য ছিল না যে সুশান্ত অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেউ সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। আজকের টুইটার প্রমাণ করে দিচ্ছে এখানে সবাই কতটা নীচ।
https://twitter.com/sapnabhavnani/status/1272135354988945414?s=19
শোকপ্রকাশ করেছেন প্রযোজক পরিচালক করণ জোহরও। সুশান্তের মৃত্যুর জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করছেন বলে জানান তিনি। গত এক বছর অভিনেতার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি তিনি। জানা যায়, ড্রাইভ ওয়েব সিরিজের ব্যর্থতার পরেই সুশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন করণ। তার আগে যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গেও সম্পর্কচ্ছেদ করেন সুশান্ত।
https://www.instagram.com/p/CBacnPSJRtT/?igshid=he6h0bo4quq1
‘পানি’ ছবিতে কাজ করার জন্য যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন সুশান্ত। এর জন্য তিনি রাম লীলা, ফিতুরের মতো ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কিন্তু শেষমেষ পানি ছবি থেকেই সরে আসে যশ রাজ ফিল্মস।
জানা যায়, বেফিকরে ছবিতেও প্রথমে সুশান্তেরই অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে কিছু না জানিয়েই তাঁর বদলে নিয়ে নেওয়া হয় রণবীর সিংকে। এরপর সেই সংস্থার সঙ্গেও সম্পর্ক ত্যাগ করেন অভিনেতা। এখন একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে, তাহলে কি নেপোটিজমের প্রভাবে এভাবেই কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল সুশান্তকে? সন্দেহের খচখচানিটা রয়েই যাচ্ছে।