বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফাঁস হয়ে গেল সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) ফরেন্সিক টেস্টের (forensic test) ভিডিও (video)। আর সেই ভিডিওতেই শোনা গিয়েছে এমন কিছু কথোকথন যা রহস্যের জাল আরও ঘন করছে। তদন্তকারী অফিসাররা আগে থেকেই জানতেন ভিডিও ফাঁস হয়ে যাবে। তাতে তদন্তের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। তাহলে কি সুশান্ত মামলায় কোনও তথ্য গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছে? প্রশ্ন নেটিজেনের।
সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে সুশান্তের মৃত্যুর পরপরই সেই ঘরে তদন্তের কাজ চালাচ্ছেন কয়েকজন অফিসার। ভিডিওতে তাদের কথোপকথন শোনা যায়। এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আশা করি এই ভিডিওটা ফাঁস হয়নি। তাহলে আমাদের তদন্ত নষ্ট হয়ে যাবে।’
এই ভাইরাল ভিডিও দেখেই নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি ওই ব্যক্তিরা আগে থেকেই জানতেন যে ভিডিওটি ফাঁস হবে? ভিডিও ফাঁস হলে তাদের তদন্তই বা নষ্ট হবে কেন? তাহলে কি অভিনেতার মৃত্যুর কোনও তথ্য লুকোনোর চেষ্টা চলছে যা এই ভিডিও ফাঁস হলে প্রকাশ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে? তবে এখনও পর্যন্ত এই প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়া যায়নি। ভিডিওটি এডিট করা হয়েছে কিনা তাও যাচাই হয়নি।
#Breaking on @thenewshour with Navika Kumar | TIMES NOW accesses a video from its sources which was filmed during Sushant Singh’s forensic tests.
More details by Siddhant. | #SushantRheaTwist pic.twitter.com/INCjUHrSAA
— TIMES NOW (@TimesNow) July 28, 2020
প্রসঙ্গত, এফআইআর দায়ের হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া। তিনি আর্জি জানিয়েছেন সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্তের দায়ভার মুম্বই পুলিসকে দেওয়া হোক। সংবাদমাধ্যম ANI সূত্রে খবর, রিয়া চক্রবর্তী সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন। সুশান্ত মৃত্যু মামলার তদন্ত মুম্বই পুলিসের কাছে ট্রান্সফার করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানান রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। উল্লেখ্য, এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকে একবারও প্রকাশ্যে আসেননি রিয়া। এটাই তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া এই প্রসঙ্গে।
মঙ্গলবার পটনার রাজীব নগর থানায় রিয়ার অভিযোগ দায়ের করেন সুশান্তের বাবা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩৪২, ৩৮০, ৪০৬, ৫০৬ এবং ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একাধিক গুরুতর অভিযোগ এনে ছয় পাতার একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে। সুশান্তের বাবা অভিযোগ করেন, রিয়া ষড়যন্ত্র করে অভিনেতাকে মানসিক রোগী বানাতে চাইছিলেন। সেই কারনে তাঁর ওষুধের মাত্রাও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সুশান্তের মাধ্যমে বলিউডে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন রিয়া। তাই অভিনেতার কোনও ছবির প্রস্তাব আসলে রিয়াই ফোনে কথা বলতেন পরিচালক প্রযোজকদের সঙ্গে। রিয়া বলতেন, যদি তাঁকে ছবিতে মুখ্য অভিনেত্রীর চরিত্র দেওয়া হয় তবেই সুশান্ত এই ছবি করতে রাজি হবে। অপরদিকে ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে সুশান্তকে কার্যত মানসিক রোগীতে পরিণত করছিলেন রিয়া। তিনি অভিনেতাকে হুমকিও দিতেন এই বলে যে তাঁকে বাধা দিলে তাঁর মেডিক্যাল রিপোর্ট ভাইরাল করে দেবেন।