বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুত (sushant singh rajput) মৃত্যু মামলায় চাঞ্চল্যকর বয়ান দিলেন অভিনেতার প্রতিবেশী। মৃত্যুর আগের দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ রাতে অন্যান্য দিনের থেকে অনেক আগেই নিভে যায় সুশান্তের ফ্ল্যাটের আলো।
সুশান্তের ওই প্রতিবেশীর দাবি, অভিনেতা সাধারনত ভোর ৪টের আগে ঘুমোতেন না। তাই তাঁর ঘরের আলোও জ্বলত প্রায় সারারাত। কিন্তু ১৩ তারিখ রাত ১০:৩০-১০:৪৫ এর মধ্যেই তাঁর ফ্ল্যাটের সমস্ত আলো নিভে যায়। শুধুমাত্র রান্নাঘরের আলো জ্বলছিল। অন্যদিন এমনটা হয় না। তবে সেদিন রাতে কোনও পার্টি হয়নি বলেই জানান অভিনেতার প্রতিবেশী।
গতকালের মতো আজও সুশান্তের রাঁধুনি নীরজ ও বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এর আগে এক সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনিই সুশান্তের বাড়ির ওয়াচম্যানকে বলেছিলেন চাবিওয়ালাকেয়খবর দিতে। অথচ চাবিওয়ালা দাবি করেছেন ওয়াচম্যান নয়, সিদ্ধার্থ নিজেই খবর দিয়েছেন তাঁকে।
On 13th June, all lights of #SushantSinghRajput's house were switched off, except of the kitchen, at around 10.30-10.45pm. There was no party at his residence that night: Neighbour of Sushant Singh Rajput in #Mumbai pic.twitter.com/VEPjRpSPcN
— ANI (@ANI) August 22, 2020
ওই চাবিওয়ালা আরও জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থ তাঁকে বলেছিলেন ঘরের মধ্যে থেকে কোনও আওয়াজ এলেই তালা ভাঙা বন্ধ করে দিতে। তালা ভাঙার পর আর তাঁকে থাকতে দেওয়া হয়নি সেখানে। এমনকি ঘরের মধ্যে দেখতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ চাবিওয়ালার।
অপরদিকে সুশান্তের ময়না তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, শ্বাস রোধ হওয়ার কারনেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। ঘাড়ে রয়েছে ‘লিগেচার মার্ক’ও।
কুপার হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকের একটি টিম ময়না তদন্ত করেন সুশান্তের। সেই রিপোর্ট এবার প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে লেখা রয়েছে, শ্বাস বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। ঘাড়ে স্পষ্ট রয়েছে লিগেচার মার্ক। ৩৩ সেন্টিমিটার লম্বা ছিল এই মার্ক। ডানদিকে মার্কের পুরুত্ব ছিল ১ সেন্টিমিটার ও বাঁদিকে ৩.৫ সেন্টিমিটার।
ঘাড়, গলা, মাথার কোনও হাড় ভাঙেনি, ছিল না কোনও আঘাতের চিহ্নও। রিপোর্টে আরও লেখা রয়েছে, চামড়ার ভেতরের স্তর অর্থাৎ সাবকিউটেনাস গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি এবং ল্যারেঞ্জিয়াল পেশিতে কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি।
অপরদিকে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন অত্যন্ত তাড়াহুড়োর মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল তাদের। রাতের মধ্যেই ময়না তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বই পুলিস। এমনকি বিধি সম্মত ভাবে করোনা পরীক্ষাও করা হয়নি সুশান্তের।