বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যু মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই একটার পর একটা নতুন তথ্য উঠে আসছে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সুশান্তের ময়না তদন্তের (postmortem) রিপোর্ট। রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, শ্বাস রোধ হওয়ার কারনেই মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। ঘাড়ে রয়েছে ‘লিগেচার মার্ক’ও।
কুপার হাসপাতালের পাঁচ চিকিৎসকের একটি টিম ময়না তদন্ত করেন সুশান্তের। সেই রিপোর্ট এবার প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে লেখা রয়েছে, শ্বাস বন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। ঘাড়ে স্পষ্ট রয়েছে লিগেচার মার্ক। ৩৩ সেন্টিমিটার লম্বা ছিল এই মার্ক। ডানদিকে মার্কের পুরুত্ব ছিল ১ সেন্টিমিটার ও বাঁদিকে ৩.৫ সেন্টিমিটার।
ঘাড়, গলা, মাথার কোনও হাড় ভাঙেনি, ছিল না কোনও আঘাতের চিহ্নও। রিপোর্টে আরও লেখা রয়েছে, চামড়ার ভেতরের স্তর অর্থাৎ সাবকিউটেনাস গ্রন্থি, থাইরয়েড গ্রন্থি এবং ল্যারেঞ্জিয়াল পেশিতে কোনও রক্তক্ষরণ হয়নি।
অপরদিকে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা এও জানিয়েছেন অত্যন্ত তাড়াহুড়োর মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছিল তাদের। রাতের মধ্যেই ময়না তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল মুম্বই পুলিস। এমনকি বিধি সম্মত ভাবে করোনা পরীক্ষাও করা হয়নি সুশান্তের।
তবে ওই চিকিৎসকদের বয়ানে সিবিআই সন্তুষ্ট নয় বলেই জানা গিয়েছে। তাদের ইতিমধ্যেই জেরা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর সময়ের উল্লেখ নেই কেন সেই প্রশ্নও তুলেছে তারা।
প্রসঙ্গত, ১৪ জুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার কার্টার রোডের ফ্ল্যাটে পৌঁছায় সিবিআই এর একটি দল। ১৩ জুন রাত থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে পুনর্নির্মাণ করা হয় এদিন। সিবিআই টিমের সঙ্গে সুশান্তের ফ্ল্যাটে হাজির হন অভিনেতার বন্ধু তথা ক্রিয়েটিভ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ পিঠানি ও রাঁধুনি নীরজ। রাত ৮ টার কিছু পরে সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে বেরোন সিবিআই অফিসাররা।