বাংলা হান্ট ডেস্ক –সাম্প্রতিক বাংলায় একের পর এক বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে এবং ভোট পরবর্তী সময় থেকে প্রায় ৮০ জন এর মতো বিজেপি কর্মী হত্যা হয়েছে বলে দাবি রাজ্য বিজেপি।
বারবার বিজেপি নেতৃত্ব বর্তমান প্রশাসন উপর আঙুল তুলছে এবং ২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি আসন পায় বাংলা থেকে, তারপর রাজ্য রাজনীতির চিত্রটা বদলায়।
বিজেপি সাংসদরা একাধিকবার সাংসদে বাংলায় যে ভাবে গণতন্ত্র হত্যা করছে তৃণমূলকে দোষ দেন। সেই নিয়ে সাংসদ উত্তাল হয়ে ওঠে একাধিক বার।প্রধানমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেওয়া হয়। সাম্প্রতিক নয়াদিল্লিতে ২৪শে সেপ্টেম্বর একটি সভার আয়োজন করে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতবর্ষের প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং এটাই তার জীবনের শেষ প্রকাশ্যে সভা।
দিল্লির একটি প্রেক্ষাগৃহে সুষমা সরাজ বলেন বাংলায় গণতন্ত্র হত্যা জন্য দায়ী সেখানকার সরকার, নিহত পরিবারের তিনি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের পাশে থাকার বার্তা দেয়। এটাই ছিল সুষমা স্বরাজ এর শেষ সভা। এই সভাযতে উপস্থিত ছিলেন বাংলার একাধিক শহীদ পরিবার, সেখানে বাংলায় কে কিভাবে মারা গেছে তার পরিবার কতটা কষ্ট যন্ত্রণার মধ্যে আছে সব কথা শুনে সুষমা স্বরাজ, তারপর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এবং পার্টির পক্ষ থেকে সব রকম আশ্বাস দেওয়া হয় তার। তার এই হঠাৎ পরলোকগমন যা বাংলার কাছে অত্যন্ত দুঃখ এবং বেদনাদায়ক।
আজ বিজেপির কেন্দ্রীয় ভবনী সুষমা স্বরাজ মিথর মৃতদেহ আনা হবে। সেখানে শ্রদ্ধা যাপন করবেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,রাষ্ট্রপতি থেকে বিভিন্ন দলের নেতা নেত্রীরা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ সকল ভারতবাসী।
গতকাল তিনি মৃত্যু তিন ঘন্টা আগেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন সেখানে তিনি বলেন আমি হয়তো এই দিনটির জন্য বেঁচে আছি, কারণ তার ইচ্ছা ছিল কাশ্মীর শান্ত হবে এবং কাশ্মীর মানুষ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করবে। সাম্প্রতিক ভারতবর্ষের নতুন সরকার আসার পরে যে বিলগুলো পাস হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং আন্তর্জাতিক বিল কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ এ ধারা তুলে দেওয়া। জম্মু- কাশ্মীর এবং লাদাখে কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল করা এর ফলে সামগ্রিক উন্নয়ন হবে এবং পর্যটন শিল্প গড়ে উঠবে তার ফলে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থাকতো কাশ্মীরে তা বন্ধ হবে।
এই বিলটি পাস হওয়ার পর সুষমা জি টুইট করেন এবং তার তিন ঘন্টার মধ্যে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন, তাকে তক্ষুনি দিল্লির এইমস এ নিয়ে আসা হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
রাতেই ছুটে যান শাসক এবং বিরোধী দলের একাধিক নেতা-নেত্রী ও নরেন্দ্র মোদী, অমিত সাহরা। সকালে বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে যান ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপতি। তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হবে।