বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাতে মাত্র কয়েক দিন। দোলের পরেই শেষ হয়ে যাচ্ছে ‘অপরাজিতা অপু’ (Aparajita Apu)। মাত্র দেড় বছর চলতে না চলতেই গল্প শেষ অপু বিডিওর। গল্প শেষ অপু দীপুর। সন্ধ্যা ছটায় শুরু হবে নতুন গল্প। মন খারাপ অপু ওরফে সু্স্মিতা দের (Sushmita Dey)। এটাই প্রথম সিরিয়াল ছিল তাঁর। মডেলিং থেকে অভিনয়ে পা রেখেই মন জয় করে নিয়েছিলেন দর্শকদের। দীপু ওরফে রোহনের সঙ্গে তাঁর রসায়নও মিস করবেন অনেকেই।
আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সু্স্মিতা জানান, এখন থেকেই সেটের আবহাওয়া থমথমে। শুটিংয়ের শেষদিনের পূর্বাভাস যেন আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। মন খারাপ তাঁরও। একরাশ স্মৃতি মনে ভিড় করে আসছে। সেই প্রথম দিনের শুটিং থেকে শুরু করে এখনো পর্যন্ত নানান মুহূর্তে ঠাসা অপরাজিতা অপুর সফর।
সু্স্মিতা জানান, দারুন মজা করে শুটিং করতেন তাঁরা। খুব সিরিয়াস দৃশ্যেও ক্যামেরার পেছনে চলত হাসাহাসি। যেমন কিছুদিন আগেই অপুর মৃত্যুর দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। স্ত্রীর নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিল দীপু। এত পর্দায় দর্শকরা দেখেইছেন। কিন্তু ক্যামেরার পেছনে দৃশ্যটা কেমন ছিল?
অভিনেত্রী জানান, দীপু ওরফে রোহন সংলাপ বলা শুরু করতেই নাকি হেসে ফেলেছিলেন তিনি। ব্যস, দীপুর তো সব ঘেঁটে ঘ। তবে পর্দায় তাঁর এই মৃত্যু দৃশ্য নিয়ে বাড়িতে কিন্তু অন্য রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অভিনয়ের খাতিরে হলেও পর্দায় মেয়েকে ‘মৃত’ দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন সু্স্মিতার বাবা মা।
অভিনেত্রীর অবশ্য ওই দৃশ্যটার জন্য সুবিধাই হয়েছিল। সেই সময়েই তিনি অসুস্থ ছিলেন। সিরিয়ালে অপু যারা যাওয়ায় বাস্তবে চাপটা একটু কমে গিয়েছিল সুস্মিতার উপর থেকে। দেড় বছরে অনেক কিছু শিখেওছেন তিনি। একটা চরিত্র বাস্তবেও তাঁকে বদলে দিয়েছে। অপুর মতোই ছটফটে, প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন সুস্মিতা। পেয়েছেন দর্শকদের অফুরন্ত ভালবাসাও।
আগামীতে কী পরিকল্পনা? সুস্মিতার উত্তর, আপাতত কিছুদিনের ছুটি নিয়ে একটু বেড়াতে যাবেন তিনি। তারপর হয়তো আর ছোটপর্দা নয়, সরাসরি বড়পর্দায় লাফ দিতে পারেন। অভিনয় কেরিয়ারের সবে শুরু সুস্মিতার। আপাতত বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছেন না বলেই জানান তিনি। অপুর বাস্তবের দীপু অর্থাৎ অনির্বাণ শুরু থেকেই পাশে রয়েছেন সুস্মিতার।