বাংলাহান্ট ডেস্ক: ২১ মে, ২৮ বছর আগে এই দিনটাতেই ইতিহাস রচনা করেছিল এক বাঙালি। তিনি সুস্মিতা সেন (Sushmita Sen)। তাঁর হাত ধরেই প্রথম মিস ইউনিভার্সের (Miss Universe) খেতাব এসেছিল ভারতে। প্রথম কোনো ভারতীয় নারী সৌন্দর্যে, বুদ্ধিমত্তায় মন জয় করেছিল বিশ্ববাসীর। মিস ইউনিভার্সের মুকুট সুস্মিতার মাথায় ওঠার পর থেকে কেটে গিয়েছে আঠাশ বছর।
১৯৯৪ সালে ফিলিপিন্সে সেজে উঠেছিল ৪৩ তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার মঞ্চ। ভারত থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন অষ্টাদশী সুস্মিতা। সৌন্দর্য তো বটেই, তাঁর বুদ্ধিমত্তাও মুগ্ধ করেছিল বিচারকদের। মোট ৭৭ টি দেশের সেরা সুন্দরীদের হারিয়ে শ্রেষ্ঠ সম্মান ভারতে নিয়ে এসেছিলেন সুস্মিতা।
অন্তিম রাউন্ডে সুস্মিতার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মিস মরক্কো এবং মিস ভেনেজুয়েলা। শেষ প্রশ্নেই বাজিমাত করেছিলেন সুস্মিতা। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, নারী হওয়ার অর্থ কী? সুস্মিতা উত্তর দিয়েছিলেন, “নারী হওয়া ঈশ্বরের আশীর্বাদ, যেটা আমাদের সকলেরই কদর করা উচিত। এক শিশুর উৎস তার মা, যে একজন নারী। তিনিই একজন পুরুষকে দেখান যত্ন করা, ভালবাসার অর্থ। সেটাই নারী হওয়ার সারমর্ম।”
সুস্মিতার উত্তর মুগ্ধ করেছিল বিচারকদের। বিশ্বসুন্দরীর মুকুট পেয়েই মঞ্চ থেকে নেমে এসে দর্শকাসনে বসা নিজের মাকে প্রণাম করেছিলেন সুস্মিতা। তবে সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি অভিনেত্রীর বাবা। তিনি ছিলেন দিল্লির বাড়িতে।
সংবাদ মাধ্যমকে সুস্মিতার বাবা বলেন, মেয়ে যে জিতবে সেটা তিনি আশা করেননি। কারণ তাঁর আগে কোনো ভারতীয়ই মিস ইউনিভার্সের খেতাব পায়নি। যখন সুস্মিতা সেরা পাঁচে আসেন তখন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম থেকে তাঁকে ফোন করে জানানো হয় খবরটা।
কিন্তু সুস্মিতার খেতাব জয়ের মুহূর্তটা মিস করে গিয়েছিলেন তাঁর বাবা। কারণ ভারতে সম্প্রচার দেরিতে হচ্ছিল। কানাডা থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা প্রথম তাঁকে সুখবর জানান যে সুস্মিতা মিপ ইউনিভার্স হয়েছেন। বিশ্বাস করেননি অভিনেত্রীর বাবা। তারপর আমেরিকা থেকে তাঁর ভাই ফোনে খবরটা দিতেই বুঝতে পারেন তিনি।