বাংলাহান্ট ডেস্ক: যত চর্চা তত টিআরপি (Trp), একথা কে না জানে? এখন বিষয়টা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে ট্রোল করা মানেও এক রকম নেতিবাচক প্রচার, যার অর্থ দর্শক তা দেখছে। বাংলা সিরিয়ালগুলিও এখন নীতিতেই বিশ্বাসী। অন্তত অভিনেত্রী সুস্মিতা দে (Susmita Dey) এর বক্তব্য অনেকটা এমনি। ‘পঞ্চমী’র (Panchami) ট্রোল হওয়া নিয়ে সম্প্রতি এমনি মন্তব্য করেন তিনি।
কয়েক মাস হল স্টার জলসায় শুরু হয়েছে সিরিয়ালটি। অতিলৌকিক গল্প নিয়ে সিরিয়ালটির মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন সু্স্মিতা দে এবং রাজদীপ গুপ্ত। শুরু হওয়ার পর থেকে টিআরপি ওঠার পাশাপাশি ট্রোলও কম হচ্ছে না সিরিয়ালটি। হিন্দি ধারাবাহিকে এই ধরণের গল্প প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলার দর্শকদের কাছে এ জিনিস প্রথম।
তাই স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠাট্টা তামাশার শিকার হতে হচ্ছে পঞ্চমীকে সম্প্রতি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেন সুস্মিতা। তাঁর স্পষ্ট কথা, যে যতই খারাপ বলুক না কেন, তাতে তাঁর কিছুই যায় আসে না। কারণ মানুষ খারাপ বলছে, চর্চা করছে মানেই সিরিয়ালটা তারা দেখছে। কাজ দেখা নিয়ে কথা, মন্তব্য সুস্মিতার।
প্রসঙ্গত, নাগদেবতার অতিলৌকিক কাহিনি নিয়ে শুরু হয়েছে নাগ পঞ্চমী। এহেন গল্প হিন্দি সিরিয়ালে নতুন নয়। কিন্তু বাংলা সিরিয়ালে সম্ভবত এই প্রথম। নতুন ধরণের গল্পে প্রথম থেকেই মজে গিয়েছেন দর্শক। উপরন্তু অনেক দিন পর পঞ্চমীর হাত ধরেই ছোটপর্দায় ফিরেছেন অভিনেতা রাজদীপ গুপ্ত। সুস্মিতা রাজদীপের রসায়ন যে প্রথম বারেই সবার মন জিতে নিয়েছে তা স্পষ্ট টিআরপি তালিকাতেই।
সুস্মিতার আগের সিরিয়াল বৌমা একঘর শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র তিন মাসে। তখন নিন্দুকদের কটাক্ষ কম সইতে হয়নি তাঁকে। ভেঙে পড়েছিলেন সুস্মিতা। পঞ্চমীর সাফল্য তাঁর সেই কষ্টে ওষুধের মতো কাজ করেছে। এ সপ্তাহেও টিআরপি তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছে পঞ্চমী।