বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি টেট দুর্নীতির মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে রাজ্যে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। এমতাবস্থায়, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। এই আবহে, কোচবিহার জেলা থেকেও ৩২ জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন। এদিকে, চাকরি খুইয়ে মাথাভাঙ্গার এক শিক্ষিকা বিয়ের দাবিতে নিশিগঞ্জে এক কলেজের অতিথি শিক্ষকের বাড়িতে ধর্নায় বসেছিলেন।
পাশাপাশি, অভিযোগ উঠেছিল যে, চাকরি হারাতেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেন ওই প্রেমিক। আর তখনই উপায় না পেয়ে সোমবার রাতে ওই শিক্ষকের বাড়িতে উপস্থিত হন বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষিকা। এমতাবস্থায়, বাড়ির লোকজন বেরিয়ে এসে দেখেন যে বাইরেই বসে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও, ওই শিক্ষিকা দাবি করেন যে, যতক্ষন না বিয়ে হচ্ছে ততক্ষণ তিনি সেখান থেকে উঠবেন না।
এদিকে, অবস্থা এতটাই বেগতিক হয়ে যায় যে, রীতিমতো ধর্নাতেই বসে পড়েন তিনি। এমনকি, একটা সময়ে ওই শিক্ষকের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয় যে, সপ্তাহ দু’য়েক আগেই ওই যুবতীর সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ হয় তাঁদের ছেলের। এমতাবস্থায়, ওই যুবতীর চাকরি চলে যেতেই তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। পাশাপাশি, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি, সামাজিক মাধ্যমেও ঘটনাটির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়ে যায়।
যদিও, তারপর বুধবার রাতে উভয়পক্ষের অভিভাবকদের তরফে বিস্তারিত আলোচনা হয়। শেষমেশ কার্যত ধর্না দিয়েই নিজের দাবি পূরণ করে ফেললেন ওই শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে, তিন দিন লাগাতার ধর্নার পর গত বৃহস্পতিবার বর্ষণমুখর বিকেলে শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা এলাকা। দীর্ঘ আলোচনার পর তাঁদের বিয়ের সিদ্ধান্তে মত দেন উভয়পক্ষই। এমনকি, আইনজীবীর উপস্থিতিতেই পাত্রের বাড়িতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজের কাগজে তাঁরা স্বাক্ষর করেন। জানা গিয়েছে খুব শীঘ্রই সামাজিক ভাবেও বিয়ে সারার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।