বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। লোকসভা ভোটের আগে ঠাসা প্রশাসনিক কর্মসূচির পাশাপাশি দলীয় কিছু বৈঠকেও যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর মমতার সেই সফরের ৭ দিন না পেরোতেই বন্ধ হয়ে গেল মাল ব্লকের সাইলি চা বাগান (Mal Tea Estate)। যার জেরে শুখা মরসুমে কর্মহীন প্রায় ১ হাজার ৫০০ শ্রমিক (Jobless 1500)।
জানা যাচ্ছে, বহুদিনের বকেয়া পাওনা রয়েছে চা শ্রমিকদের। সেই পাওনা মজুরির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে মাল ব্লকের সাইলি চা বাগানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ২২ জানুয়ারি একটি পাক্ষিক মজুরি প্রদানের তারিখ থাকলেও তা দেওয়া হয়নি। এরপরই বৃহস্পতিবার কারখানার গেটের সামনে অবস্থান শুরু করে ওই চা শ্রমিকেরা। শুক্রবার ফের শুরু হয় আন্দোলন বিক্ষোভ।
বিক্ষোভের জেরে বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দেয় ২২ জানুয়ারির বকেয়া পাক্ষিক মজুরি ৫ ফেব্রুয়ারির সোমবারের মধ্যে মেটানোর হবে। শুধু তাই নয় ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরেকটি পাক্ষিক মজুরি দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এদিকে বকেয়া মজুরি তো দূর, সোমবার সকালে সাইলি চা বাগানে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস জারি করে দেয় বাগান কর্তৃপক্ষ।
প্রতিশ্রুতি মত আজ শ্রমিকদের বকেয়া পাক্ষিক মজুরি মেটানোর কথা থাকলেও তার আগেই নোটিস জারি করে সেখান থেকে চলে যায় বাগান কর্তৃপক্ষ। ওই নোটিসে বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাগান আর্থিকভাবে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। প্রতিকূল সময় থেকে বেরোতে শ্রমিকদের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছিল। তবে তার পরিবর্তে শ্রমিকেরা দফায় দফায় কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন চালাচ্ছে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। পাশাপাশি বাগানে শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে উঠছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে বাগান কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মোদীর উদ্দেশে ‘গালি’, মমতার ছবিতে মধু খাইয়ে অভিনব বিক্ষোভ বিজেপি যুবমোর্চার
হঠাৎ বাগান কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে মাথায় বাজ পড়েছে চা শ্রমিকদের। তাদের দাবি, তারা মালিক পক্ষকে সবরকম সহযোগিতা করে আসছেন। নিয়ম মেনে বাগানের সমস্ত রকম কাজ করে থাকেন। অথচ তারা বঞ্চনার স্বীকার। সময় মত মজুরি প্রদান করা হয়না তাদের। বকেয়া মজুরিও দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় বাগান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।