বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নাম না করেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের নির্দেশে মন্দিরতলায় গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান শুরু হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়েই নাম না করে মমতা-অভিষেককে নিশানা করেন তিনি।
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মন্তব্যে তোলপাড়!
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এদিন বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, ছাব্বিশ সালে আমি যাকে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি, তাঁকে আমি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব আর ওঁর ভাইপোকে জেলে পাঠাব। আমি আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি। আমার কথা রেকর্ড করে রাখুন। আর ১৫ মাস সময় চাইছি’।
এদিন নিজের বক্তব্যে মমতা (Mamata Banerjee) কিংবা অভিষেক (Abhishek Banerjee), কারোর নামই নেননি শুভেন্দু। তবে নন্দীগ্রামের বিধায়কের নিশানায় যে তাঁরাই ছিলেন তা বুঝতে কারোর অসুবিধা হয়নি। ইতিমধ্যেই তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আরও পড়ুনঃ ১১ দফা গাইডলাইন! আবাস সমীক্ষার বিতর্ক সামাল দিতে নয়া পদক্ষেপ! সরকারের এক সিদ্ধান্তে তোলপাড়
অবস্থানকারী চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে শুভেন্দু এদিন বলেন, আপনারা কারোর দয়াদাক্ষিণ্যে ধর্না অবস্থান দিচ্ছেন না। উচ্চ আদালত আপনাদের অনুমতি দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থী ‘ভাই’দের কাছে ‘দাদা’ হিসেবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অনুরোধ করেন, মুখ্যসচিব ছাড়া অন্য কারোর কাছে ডেপুটেশন দেবেন না। ‘আপনারা একদিন জয়যুক্ত হবেন’, বলেন শুভেন্দু।
মুখ্যমন্ত্রীর নাম না নিয়েই এদিন শুভেন্দু অভিযোগ করেন, তিনি নিয়োগ করতে চান না। মমতার আমলে মন্ত্রী থাকাকালীন একটি ঘটনার কথাও সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করেন, চাকরির দেওয়া নয়, বরং ভাতা প্রদানে বিশ্বাসী মমতা। কারণ তাতে তাঁর ঝুলিতে ভোট বেশি আসবে।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি যদি একটা চাকরি দিই ২৫,০০০ টাকা, ওর বাড়িতে ৩ থেকে ৪টে ভোট, তাও শিক্ষিত লোক… আমায় দেবে কিনা আমি জানি না। কিন্তু আমি যদি ওই ২৫,০০০ টাকা ৫০০ টাকা করে ৫০টা বাড়িতে দিয়ে দিতে পারি, তাহলে ৫০ গুণিতক ৪ অর্থাৎ ২০০টা ভোট আমার পাক্কা হয়ে গেল। এই হচ্ছে এনার মানসিকতা’।