বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বৃহস্পতিবার রামনবমীর (Ramnavami) ধর্মীয় মিছিল ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। হাওড়ার পর রবিবার রিষড়ার (Rishra) কিছু এলাকায় রামনবমীর মিছিল ঘিরে হামলার অভিযোগ সামনে আসে। হয় ইটবৃষ্টি। কাচের বোতল থেকে শুরু করে পাথর ছোঁড়া হয় মিছিলকারীদের উদ্দেশে। আহত হন বেশ কিছুজন। এদিন রিষড়ায় সেই হামলার ঘটনায় আহত বিজেপি (BJP) বিধায়ককে দেখতে কোন্নগরের হাসপাতালে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
বঙ্গ বিজেপির এই দুই প্রধান সৈনিক সেখানে পৌঁছেই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন। এমনকী রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতির বর্ণনা করতে তাদের কথায় উঠে এল কখনও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কখনও আবার কাশ্মীরের তুলনা।
ঠিক কী বললেন তারা? এদিন রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ”রামনবমীর মিছিলে বারবার হামলা হচ্ছে। আমাদের বিধায়ক, কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ তো সনাতন ধর্মের উপর হামলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে মানুষ গণতান্ত্রিকভাবে উৎখাত না করলে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা বাংলাদেশ, পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ অবস্থা হবে বলে মনে করি।”
এদিন দলের বিধায়ককে দেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি বলেন, ”আমরা বিশ্বাস করি, নিজধর্মের প্রতি আস্থা ও পরধর্মে শ্রদ্ধাশীল হওয়ায়। কিন্তু শিবপুর, ডালখোলা, রিষড়ায় যা যা ঘটল, তাতে বোঝা যাচ্ছে, হিন্দু সনাতন ধর্মের প্রতি কোনও শ্রদ্ধা নেই এই সরকারের। ”
প্রশ্ন ছুঁড়ে শুভেন্দু বলেন, “পুলিশ অশান্তির সময়েও দাঁড়িয়ে সব দেখছিল। নইলে কেন উলটে মিছিলকারীদেরই ধরা হবে? মিছিলে তো কোনও বিজেপির পতাকা ছিল না। তাহলে কেন বিজেপির উপর দোষারোপ করা হচ্ছে?” পাশাপাশি সাকির আলি এবং জাহিদ হাসান খান এই দুটি নাম তুলে শুভেন্দুর দাবি, এই দু’জনই রিষড়ার তৃণমূল (TMC) নেতাই সেদিন পরিকল্পনা করে রামনবমীর মিছিলে হামলা ঘটিয়েছে।
অন্যদিকে, শুভেন্দু হাসপাতাল থেকে থেকে ফেরার পর হাসপাতালে যান সুকান্ত মজুমদারও। সেখানে গিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ”কাশ্মীরে যেভাবে ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীর উপর পাথর নিক্ষেপ হয়, এ রাজ্যেও তেমনটাই চলছে।”