বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) কলকাতায় সভা করতে পারেন। সব কিছু ঠিক থাকলে সেদিনই নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে এই কর্মসূচি হওয়ার কথা। ওই দিনই আবার জামাইষষ্ঠী পড়েছে। এই বিশেষ দিনে শ্বশুরবাড়িতে আপ্যায়িত হন জামাইরা। তবে সেদিনের ‘শাহি সভা’য় বিজেপি (BJP) বিধায়কদের উপস্থিত হতেই হবে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
দলীয় বিধায়কদের ‘সমাধান’ও দিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)!
সোমবার বিকেলে কলকাতার নির্বাচন কমিশন দফতরে বিজেপি বিধায়কদের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিচ্ছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেই সময় খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক শুভেন্দুকে বলেন, ‘দাদা, ওইদিন তো জামাইষষ্ঠী! কী করব?’
কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘একজন বিধায়কের কাজ হল আগে দলীয় সভায় যোগ দেওয়া। সেই কারণে ওই সভায় সবাইকে যোগ দিতেই হবে’। এরপরেই দলীয় বিধায়কদের সমস্যার ‘সমাধান’ বাতলে দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ইন্টেলিজেন্স কেন ব্যর্থ? হামলাকারীরা কোথায়? পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে বড় পদক্ষেপ TMC-র
শুভেন্দু বলেন, ‘জামাইষষ্ঠী তো গোটা দিন ধরে চলবে। সেই কারণে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে খাওয়াদাওয়া অথবা উপহার বিনিময় সন্ধ্যা কিংবা রাতের দিকেও হতে পারে। সভায় যোগ দেওয়ার পরে বিকেল ৪টের পর প্রত্যেকে নিজের নিজের গন্তব্যে যেতে পারবেন। তোমরা তখন শ্বশুরবাড়ি যেতেই পারো’।
পরবর্তীতে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খোলেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক। শান্তনু বলেন, ‘জামাইষষ্ঠী হলেও আগামী ১ জুন অমিত শাহজির সভা বলে আমাদের প্রত্যেককে উপস্থিত থাকতেই হবে। বিরোধী দলনেতার স্পষ্ট নির্দেশ, যে কোনও পরিস্থিতিতে ওই সভায় যেতে হবে। আমি ওনার কাছে জামাইষষ্ঠীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিলাম ঠিকই, তবে উনি আমাদের যা নির্দেশ দিয়েছেন, সেটা আমরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলব’।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সবকিছু ঠিক থাকলে জামাইষষ্ঠীর দিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সভা করতে পারেন তিনি। সেখানে দলের সব বিধায়ককে উপস্থিত থাকতেই হবে, নির্দেশ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গেই শ্বশুরবাড়ি ও বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব, দু’দিকই কীভাবে সামলানো যায়, সেটাও তাঁদের বাতলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।