কেন বার বার ED এর হাজিরা এড়াচ্ছেন সুকন্যা, জানালেন শুভেন্দু অধিকারী

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেয়ে বাবার সাথে থাকতে চায়। তাই এ সব করছেন। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখে উঠে এল কেষ্ট কন্যা প্রসঙ্গ। বারংবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন নিয়ে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। বুধবার এই নিয়ে তাকে জোর কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জেলায় জেলায় সফরে বেরিয়ে পড়েছেন সকল দলের রাজনৈতিক নেতারা। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে বুধবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানে সাংবাদিকেরা সুকন্যার ইডি হাজিরা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। হাজিরা এড়ালে তদন্তকারী সংস্থা যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমার মনে হচ্ছে, বাবার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে চায়। ওই জন্য এই সব করছে।’’

   

বুধবার ফের দিল্লিতে (Delhi) ইডি (ED) দফতরে হাজিরা এড়ান সুকন্যা মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দফতরে যান নি অনুব্রত কন্যা। সূত্রের খবর, ইডি-কে চিঠি দিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন সুকন্যা। এও বলেছেন তার নাকি চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, প্রথমবার নয় এই নিয়ে পরপর ৩ বার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ইডি-র কাছে হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা। এই নিয়েই এদিন মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা।

Untitled design 2022 08 11T125902.783

প্রসঙ্গত, গরু পাচার কাণ্ডে বর্তমানে তিহাড়বন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পরই ইডির তদন্তে উঠে এসেছে অনুব্রতর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ। বাবা এবং মেয়েকে মুখোমুখি বসিয়ে সেই সম্পত্তির উৎস কি সেই বিষয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করার পরিকল্পনা ছিল ইডির। তবে এবারেও তিনি ইডি দফতরে হাজিরা না দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

তবে সুকন্যার ইডি হাজিরা প্রসঙ্গে শুভেন্দু যা বলেন তার বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই নিয়ে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, ‘‘শুভেন্দুবাবু যে পাঠশালার ছাত্র ছিলেন সেই পাঠশালার বিরুদ্ধে প্রলাপ বকছেন এখন। তবে মানুষ সব বোঝে সব জানে।’’

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর