বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিষেক এবং শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে বাকযুদ্ধে ক্রমশ চড়ছে পারদ। বিতর্ক যেন থামার কোন লক্ষণই নেই। দুজনেরই একে অপরকে লক্ষ্য করে কটাক্ষে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বঙ্গ রাজনীতি। গত শনিবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ শানান অভিষেক আর তার পরমুহূর্তেই তৃণমূল সর্বভারতীয় সম্পাদককেও খোঁচা মারতে ছাড়েন নি শুভেন্দু। সেই ধারা বজায় রেখে এবার আক্রমণের ঝাঁঝ আরো বাড়িয়ে তুললেন বিরোধী দলনেতা।
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি। গতকাল নন্দীগ্রামে নিজের বুথে দাঁড়িয়ে প্রথমেই শনিবারের অভিষেকের সভাকে ‘কুৎসা সমাবেশ’ বলে আখ্যা দেন শুভেন্দু। এরপরেই অভিষেকের নাম না করে একের পর এক আক্রমণ করে চলেন বিজেপি নেতা।
তাঁর দাবি, “শ্রমিক সমাবেশে অনেক কুৎসা ছড়ানো হয়েছে। এটিকে ‘কুৎসা সমাবেশ’ বলা চলে। যিনি এই কাণ্ড ঘটান, তিনি 42 জন সাংসদের একজন। কিন্তু আপনারা লক্ষ্য করবেন যে, গতকালের সমাবেশে আড়াই থেকে তিন হাজার পুলিশকে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল থেকে তাদেরকে ডিউটিতে রাখা হয়েছিল। ফলে সেই সময় যদি অন্য কোন জেলায় কোন ডাকাতি কিংবা খুনের ঘটনা ঘটত, তাহলে কোন পুলিশকে পাওয়া যেত না, কারণ তারা সকলেই ছিল ভাইপোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য। পশ্চিমবঙ্গের মতো এহেন রাজনীতি আর অন্য কোন রাজ্যে হয় না।”
শুভেন্দু আরো বলেন, “2011 সালে নন্দীগ্রামে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয় আর তারপর থেকে এখানে রাজনীতি শুরু হয়েছে। ও (অভিষেক) বাংলায় বহিরাগত। দিল্লি থেকে এখানে এসে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। ছাত্র রাজনীতি থেকে বিরোধী আন্দোলন, কোথাও কোনো চিহ্ন নেই ওর। কিন্তু তা সত্বেও বর্তমানে 150 কোটি টাকার বাড়ি এবং 60 লক্ষ টাকার ফরচুনার চাপেন। মানুষ সব দেখছে।”
নন্দীগ্রাম থেকে গতকাল মুখ্যমন্ত্রীকেও নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “অধিকারী পরিবার সেই সময় ছিল বলেই পিসিমণি মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছেন। আমরা যদি না থাকতাম, তাহলে উনি দিদিমণি থেকে দিদিমা হয়ে যেতেন।”