বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সিপিএম ও তৃণমূলকে একজোটে আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের আম জনতার ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার করেছে বাংলার বর্তমান ও পূর্বের শাসক দল। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলে বিজেপির (BJP) এক দলীয় সমাবেশ থেকে এমনই একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন শিশির পুত্র।
ঠিক কী কী বললেন দলনেতো? এদিন সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘গতবারের ভোটে মুসলমানদের খুব টুপি পরিয়েছিল। এনআরসি (NRC) হয়ে যাবে, আমাদের সব তাড়িয়ে দেবে। বিজেপি ঢুকে পড়বে। সাগরদিঘিতে উলটে গেছে।’
শুধু রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসই নয়, এদিন শুভেন্দুর আক্রমণের তীর ছিল বামেদের দিকেও। প্রকাশ্য সভা থেকে একজোটে বাম-তৃণমূলক (CPM-Trinamool) আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, “বামফ্রন্ট রেখে গিয়েছিল ১ কোটি বেকার, পিসিমণি সেটাকে ২ কোটি করেছে। বামফ্রন্ট রেখে গিয়েছিল ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ, পিসিমণি মাত্র ৬ লক্ষ কোটি করেছে। অর্থাৎ এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর মমতা ব্যানার্জি রামপুরহাটের বগটুইতে মুসলমান পুড়িয়েছে।”
এরপরেই রাজ্যে বাম কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। খানিক সমবেদনার সুরে খোঁচা মেরে তিনি বলেন, ‘এখন কাঁদলে কী হবে? মীনাক্ষী বোনকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কংগ্রেসের কৌস্তভ বাগচীকে ধরে জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। বিজেপি তো ডেইলি আক্রান্ত। আমারই ৩৪টা মামলা।’
এখানেই থেমে যাননি বিরোধী দলনেতা। এরপর এনআরসি ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন সংখ্যালঘুরা বুঝে গিয়েছে এনআরসির-র ঢপ। ঢপের চপ মমতা ব্যানার্জি খাইয়েছিল, সেই চপ আর কাজ করছে না। লোক এখন কর্ম চায়। লোক এখন হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা চায়। আধুনিক শিক্ষা চায়।’