বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট শেষ হলেও কিছুতেই থামছেনা অশান্তি (Panchayat Violence)। গতকালও হিংসার বলি হয়েছে ৩। আর গত একমাস ধরে ভোট সন্ত্রাসে বাংলায় নিহতের পরিসংখ্যান প্রায় ৫০ ছুঁইছুঁই। চারিদিকে রক্ত বন্যা, হাহাকার। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এসব ‘বিক্ষিপ্ত ঘটনা’ ছাড়া আর কিছুইনা। গতকালই এই বিষয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘বিক্ষিপ্ত ঘটনায় কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে, এজন্য আমরা দুঃখিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অপরাধ করলে শাস্তি দিন, মেনে নেব, কিন্তু এত মিথ্যে!’ আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই তাকে একহাত নিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় যা ঘটল, তাতে আগামী একমাস কালা দিবস পালন করা উচিত।’ বিস্ফোরক বিশ্লেষণ দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘১৮-য় যা করেছিলেন, তার ফল পেয়েছিলেন ‘১৯-এর লোকসভা ভোটে। আজ যা করলেন, সামনের লোকসভা ভোটে মানুষ তার জবাব দেবে। ‘
রাজ্যকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় যা ঘটল, তাতে আগামী একমাস কালা দিবস পালন করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যের স্পর্শকাতর জায়গাগুলির তথ্যই দিচ্ছে না পুলিশ। নিহত তৃণমূল কর্মীদেরই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরি দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য শুধুমাত্র ১৯জনের মৃত্যু হয়েছে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের নির্দেশেই কাজ করছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। সব হিসেব হবে লোকসভা ভোটে।’
অন্যদিকে, রাজ্যে এসেছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেই টিমের সদস্য রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘৩৫৫-এর দাবি যুক্তি সঙ্গত, গণতন্ত্র বিপন্ন হলে দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের। গণনাতেও খুন, জয়ী প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ না দিলে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনি গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছেন। ভোট ঘিরে এত সংঘর্ষ, এত মৃত্যু, বোমা, গুলি, এটাই কি কাম্য?’
আর এই মন্তব্য নিয়ে উল্টে মমতা বলেন, ‘আমরা অনেক সহ্য করেছি, আমাদের এলাকাতেও পুনর্নির্বাচন করেছি। বাংলার বদনাম করে বেড়াচ্ছে, আবার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে।’