ভোট দেওয়ার আগে ভাবুন! ফের বিদ্যুৎ পরিষেবায় ‘কারচুপি’ নিয়ে সরব, বিরাট আবেদন শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী শনিবার পশ্চিমবঙ্গে সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। সেদিন বাংলার ৯টি কেন্দ্রে ভোট রয়েছে। শেষ দফার ভোটের আগে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল মরণ কামড় দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ সকলে। এবার যেমন ১ জুন ভেবে ভোট দেওয়ার আবেদন জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

আগামী ১ জুন উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, দমদম, বসিরহাট, যাদবপুরের মতো রাজ্যের বেশ কয়েকটি হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। প্রত্যেকটি আসনই দক্ষিণবঙ্গ এবং কলকাতা লাগোয়া। এবার এই এলাকার ভোটারদের কাছে ভোটের আগে একটু ভেবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু। ঠিক কী বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

সম্প্রতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন বিজেপি নেতা। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিইএসসিকে একযোগে নিশানা করেন তিনি। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে CESC-কে একহাত নেন বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলকে কয়েকশো কোটি টাকা দিয়েছে ক্যালকাটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্পোরেশন। সেই সংস্থা রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে জ্বালানি এবং বিদ্যুতের দাম সংশোধনের জন্য আর্জি জানিয়েছিল যা কিনা গৃহীত হয়েছে। যে কারণে CESC গ্রাহকদের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করার জন্য তৈরি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ হেরে যাবেন সৌগত? দমদমে দুই দলের মধ্যে ‘সেটিং’! ভোটের তিনদিন আগে বিস্ফোরক মমতা

বিজেপি নেতার দাবি, এই প্রক্রিয়া চুপিসারে শুরু হয়েছে। তবে এর ফলে গ্রাহকরা বিপদে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যান্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাগুলিকে কলকাতায় ব্যবসার অনুমতি না দিয়ে কেবলমাত্র CESC-কে বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করছে। যে কারণে উক্ত বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পাশাপাশি লাভবান হচ্ছেন মমতা, দাবি করেন বিজেপি নেতা।

Suvendu Adhikari

শুভেন্দুর কথায়, CESC যখন ইচ্ছা যে কোনও ভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়াচ্ছে। আর সরকার সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে না। কারণে চাঁদা হোক, অনুদান হোক বা ভাগের অঙ্ক হোক, তা সঠিক সময়ে তাদের কাছে চলে যাচ্ছে। এর ফলে ফাঁপরে পড়ছে আমজনতা। সেই কারণে আগামী ১ জুন ভোট দেওয়ার আগে গত এক দশকে কীভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে তা একটু দেখার অনুরোধ করেছেন তিনি। তাহলে সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর