তালা পড়ল হুগলির আরও একটি জুটমিলে, ৪ হাজারের বেশি শ্রমিক কর্মহীন, তোপ দাগলেন শুভেন্দু

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বছরের প্রথম দিনই তালা পড়ে যায় হুগলির চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলে, এরপর কদিন আগেই বন্ধ হয়ে যায় ডানকুনির সোনা বিস্কুট ফ্যাক্টরিও। এবার চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিলে তালা পড়তেই রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)।

বছরের একাধিক সময়ে দেখা গিয়েছে, নানারকম কারণ দেখিয়ে, আবার কখনও কোন কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের একাধিক জুটমিল। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে প্রচুর কর্মীরা। রাতারাতি অন্ন সংস্থান চলে যাওয়ায়, সংসার পরিজনদের নিয়ে পথে বসতে হয়েছে তাঁদের। এই অবস্থায় ফের ঝাঁপ বন্ধ হল আর একটি জুটমিলের।

51408 jutemill13 3 16

এবার বন্ধ হল হুগলির চাঁপদানির নর্থব্রুক জুটমিল। সোমবার সেখানে কাজ করতে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন তালা বন্ধ রয়েছে জুটমিলের গেটে। যার ফলে রাতারাতি বেকার হয়ে পড়লেন চার হাজারের বেশি মানুষ। তাঁদের সকলেরই সংসার রয়েছে। আর এই অবস্থায় কাজ হারিয়ে মহা বিপাকে পড়েছে শ্রমিকরা।

এই বিষয়কে কেন্দ্র করে এবার রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটারে তিনি লেখেন, চলতি বছরের প্রথম দিনই বোঝা গিয়েছে রাজ্যে শিল্পায়নের কী দশা হয়েছে। চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিল, নৈহাটি জুটমিল ও ডানকুনির সোনা বিস্কুট কারখানায় দেখা গিয়েছে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস’।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘জুটমিলগুলি বন্ধের জন্য দায়ি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। এখানে রাজ্য সরকারের কোন ভূমিকা নেই। আমরা জুটমিল খোলার চেষ্টা করলেও, এটা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে’।

জানিয়ে রাখি, গতবছর মাঝামাঝি থেকেই তালা বন্ধ হতে শুরু করে একের পর এক জুটমিলে। তার মধ্যে ছিল রিষড়ার ওয়েলিংটন জুটমিল, শ্রীরামপুরের ইন্ডিয়া জুটমিল এবং ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগরও।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর