বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বারুইপুরে এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভসভা করেছেন তিনি। সেখান থেকেই এদিন একের পর আক্রমণে বিঁধলেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (Trinamool Congress)। নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে বিজেপির (BJP) অশ্বমেধের ঘোড়া বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করবে বলে আজ আগাম জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু।
সব হিসাব বরাবর করার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)
শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, বিহারে যেভাবে ‘জঙ্গল রাজ’ খতম করা হয়েছে, বাংলা থেকেও সেভাবে তৃণমূলকে উৎখাত করা হবে। আজ বারুইপুরের সভা থেকে তৃণমূলকে একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু। যার মধ্যে ছিল হিন্দুদের ভোট দিতে না দেওয়া থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে খুন, সন্ত্রাসের মতো অভিযোগ। একইসাথে এদিন তিনি প্রকাশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তৃণমূলী গুন্ডাদের যাবতীয় দুষ্কর্মের হিসেব হবে। হিসেব নেবে বিজেপি।’
ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ টেনে এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছে। এমনকি হিন্দুদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘গত লোকসভা নির্বাচনে জেলায় কোনও হিন্দুকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। যা খুশি করা হয়েছে। ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার,গোসাবা, মগরাহাট,ফলতা,মেটিয়াব্রুজ এমন কোনও জায়গা নেই, যেখানে ‘২৪-এ ভোট লুঠ হয়নি।’ এরপরেই নিউটনের সূত্র ধরে বিজেপি নেতা এদিন বললেন, ‘প্রত্যেক বুথে আট জন করে পোলিং এজেন্ট রাখা হয় বিশেষ সম্প্রদায়ের, বিশেষ গুন্ডাদের, শান্তির ছেলেদের। নিউটনের তৃতীয় সূত্র আছে, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীতধর্মী প্রতিক্রিয়া আছে। পৃথিবীটা গোল। সব হিসেব হবে।’
আরও পড়ুন: দিলীপের ‘কুমন্তব্যে’ চুপ! এরই মধ্যে ইস্তফা এই তৃণমূল নেত্রীর, নয়া জল্পনায় তোলপাড়
পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গেও পুলিশের ভূমিকায় এদিন একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, ‘২০২৩ সালের দক্ষিণ ২৪ পরগনার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। সন্ত্রাস চলছে, মনোনয়ন জমা দিতে বাধা থেকে জয়ের সার্টিফিকেট পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এর জন্য দায়ী আমাদের করের টাকায় বেতন নেওয়া পুলিশ। কতগুলো চোর আইপিএস অফিসার মিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং ভাইপোর ইশারায় জেলাকে কার্যত জতুগৃহে পরিণত করেছে।’
এখানেই শেষ নয়! রামনবমীর আগে হিন্দুদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শুভেন্দু এদিন বললেন, ‘হিন্দুরা, যদি বাঁচতে চাও বিভেদ ভুলে এক হও। জনতার জাগরণ, মমতার বিসর্জন, বেকারদের কান্না,মমতার বিসর্জন, নারীদের কান্না, মমতার বিসর্জন। রামনবমী হচ্ছে ভাল করে করছেন, তারপর হনুমান জয়ন্তী করবেন, হিন্দু জেগে গিয়েছে।’