বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালির প্রতিবাদী গৃহবধূ রেখা পাত্র (Rekha Patra) বর্তমানে বিজেপি (BJP) নেত্রী। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বসিরহাট থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হাজি নুরুল ইসলাম। এদিকে তাঁর প্রয়াণের পর আপাতত ‘সাংসদ-হীন’ বসিরহাট। এই আবহে এবার রেখাকে নিয়ে হয়ে গেল বড় ঘোষণা!
‘রেখা পাত্রের সাংসদ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা’ (Rekha Patra)!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্দেশখালি সফর করতে চলেছেন। তার আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই রেখাকে নিয়ে বড় দাবি করেন তিনি। পদ্ম নেতা বলেন, কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তার রায় এলেই বসিরহাটের সাংসদ হবেন রেখা পাত্র।
শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, ‘কোনও লাভ হবে না। গত লোকসভা ভোটে সন্দেশখালি থেকে আমরা ৭০০০ ভোটে লিড দিয়েছি। যে সন্দেশখালিতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সুকুমার মাহাতো ৭০,০০০ ভোটে জিতেছিলেন। বসিরহাট কেন্দ্রে আমরা জিততে পারিনি কারণ সেখানে মুসলমান ভোট প্রায় ৬০%-এর কাছাকাছি। সেখানে বাদুড়িয়া, মিনাখাঁর মতো বহু স্থানে হিন্দুরা সংখ্যালঘু । সেখানে হিন্দুদের ভোট দিতে যেতে দেওয়া হয় না’।
আরও পড়ুনঃ অভিযোগ থাকলে সরাসরি ফোন! বাংলার বাড়ি নিয়ে বিরাট উদ্যোগ সরকারের! রইল নম্বর
বিরোধী দলনেতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) আসার পরের দিন তিনি সন্দেশখালিতে যাবেন। সেখানে গিয়ে জনসংযোগ করার ঘোষণা করেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, ‘সন্দেশখালিটা বিজেপির জায়গা। কঠিন সময়ে বিরোধী দলনেতা তাঁদের পাশে ছিল, এখনও রয়েছে’।
এখানেই না থেমে বড় ‘পূর্বাভাস’ও দেন শুভেন্দু। বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘সন্দেশখালির হিন্দু এবং জনজাতি পরিবারগুলিকে যদি আপনি ১ কোটি টাকা করেও দেন, তাঁরা হয়তো অভাবের তাড়নায় নিয়ে নিতে পারেন। সরকারি টাকা অ্যাকাউন্টে আপনি ট্রান্সফার করে দিতে পারেন। কিন্তু সন্দেশখালির কোনও হিন্দু, বিশেষত তফশিলি এবং জনজাতিরা আপনাকে ভোট দেবে না’।
এরপরেই রেখাকে (Rekha Patra) নিয়ে বড় ঘোষণা করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, ‘আপনাকে ভোট দেবে পিঠে তৈরি করা শেখ শাহজাহান এবং তাঁর কোম্পানি। আমরা ৭০০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছি। আগামীদিনে আরও বেশি ভোটে জয়ী হব’। পদ্ম নেতার সংযোজন, ‘রেখা পাত্রের করা যে মামলা কলকাতা হাইকোর্টে চলছে, তাতে রেখা পাত্রের সাংসদ হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা’।