‘হালিম ২১ হাজার টাকা কাটলেও এদের মতো করেনি’, শুভেন্দুর গলায় হটাৎ সিপিএম-স্তুতি, কারণ কী!

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বেশ কয়েক মাস ধরে বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নাম বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। যত সময় গড়িয়ে চলেছে, তৃণমূলর বিরোধিতায় সর্বপ্রথম নাম উঠে এসেছে বিরোধী দলনেতার। সম্প্রতি বিধানসভায় তুলকালাম কাণ্ড ঘিরে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে উক্ত এফআইআর (FIR) খারিজ করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) একটি মামলা পর্যন্ত দায়ের করেন তিনি আর এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিজেপি (BJP) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন শুভেন্দু অধিকারীর কন্ঠে উঠে আসে সিপিএম স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের কথা। তিনি বলেন, “২০০৭ সালে বিধানসভায় ভাঙচুর করা হয়েছিল। সেই সময়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এখনকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বে সবকিছু হয়েছিল। এখনো স্পষ্ট মনে আছে, আমাদের সকল বিধায়কদের ২১ হাজার টাকা করে কাটা হয়েছিল এবং তা করেছিলেন তখনকার স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম। কিন্তু এখন বাংলায় যা চলেছে, হাসিমবাবুও তা করেননি। এদের মত কখনোই করেননি উনি।”

উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনের সময়ে বিধানসভায় গুন্ডামি করার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারী সহ একাধিক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ তোলা হয়। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী এবং বিশ্বজিৎ দাসেরা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এক্ষেত্রে বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ইনকাম ট্যাক্স পাঠানোর পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তারা।

সেই প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, “ওরা যে অভিযোগ করেছে, তার কোনরকম প্রমাণ নেই। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই এফআইআর করা হয়েছে। বর্তমানে গোটা বাংলায় নৈরাজ্য চালানো হচ্ছে। আমাদের বিধায়কদের মারা হচ্ছে। অত্যাচার করা হচ্ছে। কেবলমাত্র খুন করাই বাকি রয়ে গিয়েছে।”

Assembly

সাম্প্রতিককালে বাংলায় চাকরি দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক নতুন অভিযোগ উঠে চলেছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন শুভেন্দু অধিকারী। চাকরি দুর্নীতি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চাকরি দুর্নীতির সকল অভিযোগ জমা পড়ছে। একে বলে ডাকাতের কাছে চোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা করা। কয়লা পাচারের টাকা থেকে অন্যান্য একাধিক ক্ষেত্রে টাকা ওর কাছে জমা পড়ে। সবাই দুর্নীতিবাজ।”

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর