বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ বর্তমানে গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের বাংলাতে সেই আঁচ এসে পড়েছে। বিগত তিনদিন ধরে হাওড়ার একাধিক প্রান্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন এলাকায় 144 ধারা জারি রেখেছে প্রশাসন। এর মাঝেই গতকাল হাওড়া যাওয়ার রাস্তায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পথ আটকানো হয় এবং পরবর্তীকালে তাঁকে গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়। এদিনও বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একটি চিঠি পাঠিয়ে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় যেতে বারণ করে কাঁথি থানা। সেই প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু অধিকারী। দিলেন আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি।
এদিন সূত্র মারফত খবর পাওয়া যায়, বিজেপি নেতা অশোক দিন্দার বাড়ি যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে কলকাতা যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর এবং সম্ভবত কলকাতা থেকেই হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় রওনা দেবেন তিনি। আর সেই খবর সামনে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ। তবে বর্তমানে পুলিশি হুঁশিয়ারি মাঝে ময়নাতে অশোক দিন্দার বাড়িতে হাজির হয়েছেন শুভেন্দুবাবু। এবার তাঁর পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, তা সময় বলবে।
এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থিত হয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “যেভাবে বাংলার একাধিক প্রান্তে মানুষ বিক্ষোভ চালিয়ে চলেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন তাদেরকে আটকাতে পারছে না। আমাকে গ্রামীণ হাওড়ায় যেতে বাঁধা দেওয়ার জন্য যেভাবে পুলিশ বাহিনীকে কাজে লাগিয়েছে প্রশাসন, সেটা যদি বিগত বেশ কয়েক দিনে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে কাজে লাগাতে পারত, তাহলে আরো ভালো হতো।”
এরপরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিগত দুদিনে যেভাবে রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভের ফলে মানুষের দুর্ভোগ ক্রমশ বেড়ে চলেছে, তা নিন্দনীয়। এই দু’দিনে বিক্ষোভের ফলে বহু মানুষের ভোগান্তি হয়েছে, তার জবাবদিহি মুখ্যমন্ত্রীকে করতে হবে। আমাকে আজ কলকাতায় যেতে হবে এবং গ্রামীণ হাওড়ার উপর দিয়েই যেতে হয়। আমাকে কেন আটকাবে পুলিশ? এরকম চললে আমাকে আদালতে যেতে বাধ্য হতে হবে।”
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “হাওড়ার একাধিক প্রান্তে বিক্ষোভ আরো উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে বিজেপি। এই সকল এলাকায় যখন 144 ধারা চলছে, তখন সেখানে কারোর যাওয়া উচিত নয়। কিন্তু বিজেপি নেতারা একের পর এক সেখানে গিয়ে বিক্ষোভে ইন্ধন জোগাচ্ছে। এটা উচিত নয়।”