বাংলাহান্ট ডেস্ক : সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেই নির্বাচনে নিজের জন্য সমর্থন চাইতে সম্প্রতি কলকাতায় পা রেখেছেন এনডিএ মনোনীত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। মঙ্গলবার কলকাতার বাইপাসে একটি পাঁচতারা হোটেলে একটি বৈঠকের আয়োজন করেন তিনি। বিজেপির অনেক সাংসদ, বিধায়কসহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে বিজেপির উচ্চতর কমিটির সদস্যরা। এই বৈঠকে দ্রৌপদী মুর্মুকে সংবর্ধনা জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির পক্ষ থেকে একটি মা কালীর তৈলচিত্র দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চরান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মন্তব্য করেন, “শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায় বা অন্যান্য নেতাদের মত কেনা বেচার মানুষ নয়। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হটিয়ে রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছেন।”
দ্রৌপদী মুর্মুর সাথে বৈঠকের শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী দ্বিধা করার কোন প্রয়োজন নেই।উনি চাইলেই একজন মহিলা হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন জানাতে পারেন। আসলে সমস্যা হয়ে গেছে বিরোধীরা এখন আর ওকে বিশ্বাস করছে না। বিরোধীরা সকলে বুঝে গেছে এখন আসলে কে দরদী আর কে ধান্দাবাজ।”
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, কেউই আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করে না। ওর মুখের কথা আর কাজের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের উন্নয়নের উদ্দেশ্যেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন। চা বাগান গুলোর বর্তমান অবস্থা থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গের জন্য তৃণমূল নেত্রীর কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তার কথায়, আসলে ওনার একটাই কাজ হলো যে কোনভাবে হোক বিরোধী দলনেতাকে পয়েন্ট আউট করে তাকে নাজেহাল করা। কিন্তু উনি ভুল করছেন। আমি মুকুল রায় বা অন্যান্য নেতাদের মত নই। শুভেন্দু অধিকারী কে কেনা যায় না। আমার লক্ষ্য একটাই এই রাজ্য থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে সরিয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।”