বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত সময় এগোচ্ছে তত শিক্ষক নিয়োগ মামলায় দুর্নীতির ছবি প্রকট হয়ে উঠছে। প্রকাশ্যে আসছে ঘাসফুল শিবিরের একাধিক প্রভাবশালী নেতার নাম। আর তৃণমূল বিপাকে পড়তেই তাদেরকে আরও কোণঠাসা করতে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের জন্য আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা চত্ত্বর। অগ্নিপথ ইস্যুতে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে শুরু করলেও তার বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির বিষয়টি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করেন। পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভার বাইরে এসে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, চাকরি তো দূর, একটা ব্ল্যাকবোর্ড নিয়েছি প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।” আজ সোমবার বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ওরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে লাফালাফি করছে। বিজেপির এমপি, এমএলএ-রাও তাহলে ছাড় পাবেন না। দাদামনি বলেছে ১৭ হাজার লোকের চাকরি খাবে। লাখ খানেক চাকরির মধ্যে ৫০-১০০ টা কেস তো ভুল হতেই পারে।”
বিরোধী দলনেতা অবশ্য সাফকথায় জানিয়েছেন, “মাননীয়া বলছেন, ১৭০০০ চাকরি যাবে, আমার বাড়িতে তাদের পাঠাবেন, আবার বলছেন বিজেপি এমপি এমএলএ দের বাড়ি পাঠাবেন! হোয়াট ইজ দিস?, উনি গুন্ডা!”
নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “চাকরি যদি যায় তাহলে তার বাড়ির সামনেও লোক ধর্না দেবে।” তার আরও বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী যে সময় তৃণমূল কংগ্রেসের ছিলেন সেই সময় অনেককে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। পুরুলিয়া জেলার জন্য বরাদ্দ চাকরি তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় দেওয়ার জন্য সেই সময় অনেক বিক্ষোভ হয়েছিল।
তবে একজন মুখ্যমন্ত্রী আদালতের বিচারাধীন বিষয় কিভাবে বিধানসভায় তুলতে পারেন সেই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে । এছাড়াও বিশ্লেষকদের বক্তব্য, হঠাৎ কেন তিনি এই রকম কথা বললেন? এই কথা বলার মাধ্যমে কি তিনি ঘুরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেন?