মমতার পাড়ায় বিশেষ উদ্যোগ শুভেন্দুর, ভবানীপুরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে বিজেপি! তুঙ্গে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট, আর বছর ঘুরলেই লোকসভা। তার আগে বাংলায় পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় গিয়ে দলের কর্মসূচী হবে বলে জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আর এবার মমতার (Mamata Banerjee) কেন্দ্রেই দুর্গাপুজোর আসর বসাতে উদ্যত পদ্মশিবির।

শনিবার ভবানীপুর (Bhawanipur) বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ভোট পূর্বে দল তরফে দক্ষিণ কলকাতার লোকসভা এলাকার বুথ স্বশক্তিকরণ অভিযানের দায়িত্ব বর্তেছে শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। তার পর থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন বিরোধী দলনেতা। এলাকার একাধিক জায়গায় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে মেতে উঠেছেন তিনি।

গত শনিবারের বৈঠকে দলের কর্মী সৈনিকদের সামাজিক অনুষ্ঠানে আরও বেশি অংশগ্রহণ করে ভোটাদের সঙ্গে জনসংযোগ বৃদ্ধি করার কথা বলেন। দলনেতার নির্দেশ, বিভিন্ন উৎসবের পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে লোকসভার আগে দলদের বাঁধন শক্ত করতে হবে। আগামী ১ বছর সংগঠন বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করার কথা বলেন তিনি।

দলের সাথে গোপন বৈঠকে কর্মীরা তাকে জানান, ভবানীপুর বিধানসভার অন্তর্গত যে সকল দুর্গাপুজো (Durga Puja) হয়, সেগুলিতে হয় মমতার পরিবারের লোকেরা যুক্ত নয়তো স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বিজেপি নেতা-কর্মীদের কোনও পুজো কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ পৌঁছয় শুভেন্দুর কানে। এরপরই বিরোধী দলনেতার নিদান, যে সমস্ত বিধানসভায় দলের সংগঠন কিছুটা দুর্বল, সেখানে বিজেপি কর্মীরা নিজেরাই দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে পারেন। মমতার বিধানসভার কর্মীদের সম্মিলিত ভাবে দুর্গাপুজো করতে যা যা সাহায্য লাগবে, দল তা দিতে রাজি।

suvendu, mamata ..

তবে এরপর কর্মীরা শুভেন্দুকে আশঙ্কার প্রকাশ করে বলেন, যেখানে দলের সাধারণ মিটিং, মিছিল, কর্মসূচীতেই প্রশাসনের অনুমতি মেলে না সেখানে ভবানীপুররে দুর্গাপুজোর অনুমতি মিলবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। তবে এই সমস্যার ও সমাধান খুঁজে বের করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, কলকাতায় অনেক জায়গা আছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন।

সেক্ষেত্রে সেসব জায়গায় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি নিয়ে দুর্গাপুজো করলে আর কোনো বাধা থাকছে না। ভবানীপুর বিধানসভা এলাকায় কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের বেশকিছু সম্পত্তি রয়েছে তাই সেখানে গেরুয়া কর্মীরা পুজো করতেই পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু আরও বলেন তিনি নিজেও সেই পুজোয় উপস্থিত থাকবেন। তো সব মিলিয়ে এবারের ভবানীপুর বিধানসভায় দুর্গাপূজোয় মমতা-শুভেন্দু এই দুই রথীর যুদ্ধ দেখা যেতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাকিটা সময়ের অপেক্ষা।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর