বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্যালাইনকান্ডে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল সারা বাংলা। সেই রেশ এখনও কাটেনি। নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়ার জন্য সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেই মৃত্যু হয়েছিল একজন মায়ের। ওই ঘটনার পরেই হাসপাতালে ভর্তি প্রসূতিদের নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছিল গোটা বাংলা। সেই সূত্র ধরেই এবার বাংলার বুকে চলতে থাকা আরও এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতির ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিরাট অভিযোগ করে এবার এই বিজেপি নেতার দাবি, ‘বাংলায় আরও এক ওষুধ দুর্নীতি চলছে।’
বাংলায় আরও এক দুর্নীতির অভিযোগ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন সরকারের অধীনস্থ সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর্স সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল সহ জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসারদের নোটিস দিয়ে বলেছে ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিসের সাপ্লাই করা কোনও ওষুধ বা সামগ্রী ব্যবহার না করতে। এমনকি সেগুলি বর্জন করতেও বলা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে যদি ওই ওষুধের স্টক থাকে সেগুলোও ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারণ গত ২৯ জানুয়ারি স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে ফার্মা ইমপেক্সকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারী এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এটা একটা ওষুধ দুর্নীতি চলছে। কারণ বিষয়টি সম্পর্কে খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি, একটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে।’ একই সঙ্গে,তিনি দাবি করেছেন কোন কোন ওষুধ নিষিদ্ধ হল বা ব্যবহার করা যাবে না, সে ব্যাপারেও কোনও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি নেতার কথায়, ‘মনে হচ্ছে, এটাও একটা বড় ষড়যন্ত্র।’
আরও পড়ুন: পরিসংখ্যানের নিরিখে শীর্ষে বাংলা! চমকে দেবে কেন্দ্রের রিপোর্ট
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের থেকেও এই ইস্যুতে উত্তর চেয়েছিলেন তিনি (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর প্রশ্ন, কী এমন হল যার জন্য ওই সংস্থাকে ওষুধ উৎপাদন করতে বারণ করে দেওয়া হল? এমনকি তারা কেন আর কোনো ওষুধ উৎপাদন করতে পারবে না? এদিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
Another Medicine Scam Alert !!!
The Central Medical Stores; under the Directorate of Medical Services; Govt of WB have issued a Notice to the MSVPs of Medical College & Hospitals and Chief Medical Officer of the Districts, informing them that Pharma Impex Laboratories Private… pic.twitter.com/XEyXA5FY9Q
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) February 15, 2025
প্রসঙ্গত চলতি বছরের শুরুতেই রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন-কাণ্ডে প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল মেদিনীপুরে। এই মামলা গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৮ ও ৯ জানুয়ারি হাসপাতালে আরএমও ছিলেন না। সিনিয়র ডাক্তাররাও ছিলেন না। একসঙ্গে পাঁচজন প্রসূতি ভর্তি হয়েছিলেন। অন্যদিকে স্টেট ড্রাগ কন্ট্রোল জানিয়েছে, স্যালাইনে কোনও সমস্যা ছিল না। যদিও এখনও পর্যন্ত এই রহস্যের সমাধান হয়নি। তাই প্রসূতি মৃত্যু এবং অসুস্থতার ঘটনায় এখনও তদন্ত করছে সিআইডি।