বামেদের মতো করুণ পরিণতি হবে তৃণমূলের, বিজেপির আগামী রণনীতি নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শুভেন্দুর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ২০১৬ সালে ৩ আসন দখল করা বিজেপি এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭ আসনে জয়লাভ করেছে। নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছেন। আর এই কারণে শুভেন্দু অধিকারীকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে বিজেপি। আর এরপর একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী ভবিষ্যতের রণনীতি নিয়ে মুখ খোলেন।

শুভেন্দু জানান, বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য একমাত্র তৃণমূল দায়ী। আর তাঁরা এভাবে হিংসা ছড়িয়ে জনমতকে অপমান করেছে। শুভেন্দু জানান, সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে। উনি বলেছিলেন, ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির।” কিন্তু আজ বাংলায় মানুষের স্বাধীনতা নেই আর বর্তমান পরস্থিতি দেখে মানুষের মাথা নত হচ্ছে।

তিনি ভোট তৃণমূলের জয়ের পর শাসক গোষ্ঠী দ্বারা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের নিশানা বানিয়ে রাজ্যজুড়ে চলা হিংসা নিয়ে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপরে তৃণমূলের লোকেরা হামলা করেছে। গোটা রাজ্যে এরকম সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষেরাও আতঙ্কিত।”

শুভেন্দু জানিয়েছেন, ‘তৃণমূল মানুষের রায়কে অসম্মান করে গোটা রাজ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়েছে আর বাংলার গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়েছে।” শুভেন্দু জানান, ‘বাংলার মানুষ তৃণমূলের শাসন করার জন্য ভোট দিয়েছিল, সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য না।” তিনি জানান, সরকারের উচিৎ করোনা নিয়ন্ত্রণ করা কিন্তু তৃণমূলের গুণ্ডারা রাজ্যে গণতন্ত্র নষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। নির্বাচনী প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী এত ব্যস্ত ছিলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী দ্বারা ডাকা করোনা নিয়ে বৈঠকেও যান নি।”

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘৩ থেকে ৭৭ আসনে পৌঁছেছে বিজেপি আর আমরা বাংলার গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য সংঘর্ষ করব। তৃণমূলের অপশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ উঠবে। কিন্তু তৃণমূল যদি না শুধরায়, তাহলে তাঁদের পরিণতি বামেদের মতো হবে।”


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর