বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই শিরোনামে ভোট পরবর্তী হিংসা। দিন কয়েক আগে ‘রাষ্ট্রবাদী আইনজীবী’ নামক একটি সংগঠনের তরফ থেকে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। এবার এই একই ইস্যু নিয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী।
নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক বাংলার নির্বাচন পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) ঘটনায় আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়েছেন। এই মর্মে সোমবার তাঁর আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জানা যাচ্ছে, মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১২ জুন তথা বুধবার এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ বাংলায় আবার ভোট! রাজ্যের ৪ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন, দিনক্ষণ ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের
এদিকে ‘রাষ্ট্রবাদী আইনজীবী’ নামক সংগঠনের তরফ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাই কোর্টে যে জনস্বার্থ মামলাটি করা হয়েছিল, ইতিমধ্যেই তার শুনানি হয়েছে। বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি হয়েছে। উক্ত সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ১ জুন বাংলায় (West Bengal) শেষ দফার ভোটের পর নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় এখনও অবধি ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্ট জানায়, নির্বাচন পরবর্তী হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যকে একত্রে কাজ করতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পুলিশ যদি কোনও ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম না হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারবে। একইসঙ্গে বলা হয়, রাজ্য পুলিশের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় ইমেলের মাধ্যমে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা (West Bengal Post Poll Violence) সম্বন্ধিত অভিযোগ জমা নিতে পারবেন। এরপর জমা পড়া অভিযোগগুলির গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি তা সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠাবেন। এরপর এর ভিত্তিতে থানাকে FIR দায়ের করতে হবে।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা একেবারেই নতুন নয়। সেই কারণে চব্বিশের লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও কয়েকদিন থাকবে বলে জানিয়েছিল কমিশন। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একাধিক পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অবশ্য একাধিক হিংসার অভিযোগ সামনে এসেছে। এবার তাই আক্রান্তদের নিরাপত্তা চেয়ে সোজা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু।