বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৪ লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি BJP। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলার গেরুয়া শিবিরের ‘বেস্ট পারফর্মিং স্টেট’ হবে। তা হওয়া তো দূর, উল্টে সবুজ ঝড়ে রীতিমতো বেসামাল দেখিয়েছে পদ্ম শিবিরকে। গতবারের থেকে আসনসংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। পাঁচ বছরে কী এমন হয়ে গেল যে ফলাফল এমন হল? এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শনিবার বিকেলে নন্দীগ্রামে নিহত BJP কর্মী রথীবালা আড়ির বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। এরপরেই এবারের লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) পদ্ম শিবিরের ‘রেজাল্ট’ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘যারা এখন কথা বলছেন, পোস্ট করছেন, বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা মনে হয় অতীতটা ঠিক জানেন না। ২০০৪ সালে ৯টি আসন থেকে ১টি আসনে এসে দাঁড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এর চেয়ে তো আজ BJP-র অবস্থা অনেক ভালো’।
এখানেই না থেমে শুভেন্দু বলেন, ‘উনিশ সালে আই প্যাক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ছিল না। CAA-NRC-র নামে মুসলিমদের ভয় দেখানোও তখন ছিল না। এমনকি পুলিশও এভাবে দাঁত নখ বের করে পার্টির ক্যাডারের মতো ব্যবহার করেননি’। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা ভোটে জয়ী হওয়ার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি চালু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবারের ভোটের আগেই ভাতার অঙ্কও বাড়ানো হয়েছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল এটি।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! বাজার কাঁপাচ্ছে এই প্রকল্প, এবার ছেলেরাও মাসে পাবেন ২৫০০ টাকা!
তবে শুধু এই বিষয়টিই নয়, মুসলিম ভোটব্যাঙ্কও বেশ বড় একটা ‘ফ্যাক্টর’ হিসেবে কাজ করেছে বলে মনে করেন নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক। শুভেন্দু বলেন, ‘৩০% (সংখ্যালঘু) ভোটার তো BJP-কে ভোট দেয়নি। ওনারা ইমাম সাহেবদের কথায় নিজেদের ভোট দিয়েছেন’।
এবারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের মাত্র ১২টি আসনে পদ্ম ফুটেছে। গতবারের চেয়ে ৬টি আসন কম পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে শুভেন্দু এদিন বলেন, গেরুয়া শিবিরের ভোট শতাংশ কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।