বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার একাধিক সাংসদ এবং বিধায়কদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে যেমন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)-এর মত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ সামনে এসেছে, আবার অপরদিকে সিপিএম (Cpim), কংগ্রেস (Congress) এবং বিজেপির (BJP) মতো বিরোধী দলগুলির একাধিক নেতা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে এ প্রসঙ্গে দাবি এবং পাল্টা দাবি মাঝে উত্তপ্ত রাজনীতি।
এর মাঝেই এদিন বিতর্ক বাড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, “আমার প্যান কার্ড আছে। ইনকাম ট্যাক্সও দিই। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের এমন অনেক নেতা-নেত্রী রয়েছে, যাদের সম্পত্তি বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ তারা ইনকাম ট্যাক্স দেয় না। এমনকি তাদের প্যান কার্ডও নেই।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে সিপিএম এবং কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপির একাধিক নেতা মন্ত্রীদের নামে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ অন্যান্য একাধিক নেতারা। তবে বর্তমানে এই মামলাটিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘ষড়যন্ত্র’ বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, অতীতে ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের মতো তৃণমূল নেতা মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। ইতিমধ্যে সেই মামলায় ইডিকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে এই রায়কে পুনঃবিবেচনা করার আর্জি জানানো হয় আর এর পরেই বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের নামে জনস্বার্থ মামলা করা আসলে শাসক দলের ‘চাল’ বলে দাবি করতে থাকে অনেকে।
সেই প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু জানান, “তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের অনেকের নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা হলেও তাদের অনেকেই ইনকাম ট্যাক্স দেন না। এমনকি তাদের নামে প্যান কার্ড পর্যন্ত নেই।” সম্প্রতি গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, “বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করব না। আমার মতে, বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসের সকল নেতা নেত্রীদের সম্পত্তি কত পরিমাণে বেড়েছে, তার তদন্ত করা হোক। তাহলে সব তথ্য সামনে উঠে আসবে। আমরা চাই, ইডি সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত করে সত্য সকলের সামনে আনুক।”