আরামবাগে বেশি ভোট পেয়েছে BJP! তবু কীভাবে জিতল তৃণমূল? সব নথি ‘ফাঁস’ করলেন শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় কার্যত দাঁড়াতে পারেনি বিজেপি। গতবারের চেয়ে আসনসংখ্যা বাড়ানো তো দূর, উল্টে জেতা আসনও হাতছাড়া হয়েছে পদ্ম শিবিরের। ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল, BJP-র ঝুলিতে এসেছে মাত্র ১২টি। যদিও এই রেজাল্ট বাস্তবের প্রতিফলন নয় বলে সুর চড়িয়ে আসছে গেরুয়া শিবির। এবার এক চাঞ্চল্যকর নথি তুলে ধরে শোরগোল ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

কোথাও EVM বদলানো হয়েছে, কোথাও আবার হয়েছে দেদার ছাপ্পা, শুরু থেকেই একাধিক অভিযোগ এনেছে BJP। আইনি পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। তবে এবার বিস্ফোরক এক নথি প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি শেয়ার করতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা কেন্দ্রে BJP-র সংগঠন বেশ মজবুত। যদিও এবার সেখানে জিততে পারেনি পদ্ম শিবির। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর শোনা যায়, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এখানে পরাজিত হতে হয়েছে BJP প্রার্থী অরূপকান্তি দিগরকে। মাত্র ৬৩৯৯ ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন তৃণমূলের মিতালি বাগ। তবে এবার এই কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়েই এক বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরলেন শুভেন্দু।

আরও পড়ুনঃ তথ্য ফাঁসের দিন শেষ! এবার ফাইল চালাচালিতেও চলবে পুলিশি নজরদারি! নবান্ন নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত

সোমবার সন্ধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সেখানে তিনি দাবি করেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার ট্যাবুলেশন শিটে যে তথ্য তুলে ধরেছিলেন সেটা একেবারে উল্টে দেওয়া হয়েছে। হপিলার বিধানসভা অঞ্চলের ২৩৬ নম্বর বুথ, বলাইবেড় প্রাথমিক বিদ্যালয় নজরে রয়েছে।

BJP নেতার পোস্ট করা একটি নথিতে দেখা যাচ্ছে, BJP প্রার্থী এই বুথে ২৫৪টি ভোট পেয়েছেন, অন্যদিকে তৃণমূলের ঝুলিতে এসেছে ২৫২টি ভোট। এই তথ্যই আপলোড করে দেওয়া হয়, যা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায়। তবে সেখানে দেখা যাচ্ছে, যে বুথে BJP প্রার্থী ২টি ভোট বেশি পেয়েছিলেন, সেখানে তাঁকে পরাজিত দেখানো হচ্ছে।

Suvendu Adhikari's complaint against CESC for increasing the bill.

কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ২৩৬ নং বুথে BJP-র অরূপকান্তি দিগর ২৫৪টি ভোট পেয়েছেন। তবে তৃণমূলের মিতালি বাগ পেয়েছেন ৫৫২টি ভোট। শুধু এই একটি নয়, এমন নজির আরও প্রচুর রয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। স্বচ্ছভাবে নির্বাচন হলে অরূপকান্তিই জয়ী হতেন বলে দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক।

এরপর তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, একটি রাজনৈতিক দল গণনাকেন্দ্রে এআরওও টেবিল অবধি নজর রাখতে পারে কোনও কারচুপি হচ্ছে না। কিন্তু সেখান থেকে বেরনোর পর তো আর কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, যাদের হাতে নির্বাচন কমিশনের তথ্য আপলোডের দায়িত্ব ছিল তাঁরা বিক্রি হয়ে গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে গণনার পরেও কারচুপি করে ভোটের ফলাফল বদলে দেওয়া সম্ভব।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর