পতাকা লাগাতে গিয়ে মাথা ফাটল কর্মীদের, মঞ্চ ছেড়ে আহতদের নিয়ে সোজা থানায় শুভেন্দু

বাংলা হান্ট ডেস্ক : কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা হবে। আর সেই সভর জন্যই দলীয় পতাকা টাঙাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বিজেপি (Bharatiya Janata Party) কর্মীরা। গুরুতর জখম হন ৫ বিজেপি কর্মী। সভা শেষ করেই আহতদের নিয়ে সোজা থানায় হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির ঘটনায় শোরগোল রাজ্য জুড়ে।

পুরো ঘটনায় শুভেন্দুর অভিযোগের তির তৃণমূল দিকে। অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে বাংলার শাসকদল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝামেলার খবর রোজই আসছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। কোথাও বিরোধী প্রার্থী হুমকি, মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ, কোথাও আবার কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর-লুঠপাট।

ঘটনাটা কী? শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় হুল দিবস উদযাপন ও বাঁকুড়ার গোড়াবাড়ি এলাকায় নির্বাচনী সভা সেরে সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল এলাকার বিজেপি কর্মীরা নিজেদের গ্রামে দলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেসময়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের পতাকা টাঙাতে বারণ করেন। তা নিয়েই শুরু হয় ঝামেলা।

suvendu 2

এরপরই, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালান। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। সভামঞ্চে ওঠার পরই এই ঘটনার খবর পান শুভেন্দু অধিকারীর। সভা শেষ করেই তাঁদেরকে ডেকে পাঠান তিনি।

সভা শেষ হতেই আহত কর্মীদের নিয়ে সটান শুভেন্দু অধিকারী হাজির হন গঙ্গাজলঘাটি থানায়। থানার আইসি-র সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযোগ নেন। পুলিশ প্রশাসন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, অস্বীকার করেছেন শাসক নেতৃত্ব।

নন্দিগ্রামের বিধায়কের দাবি, ‘এভাবে দমানো যাবে না। আমাদের কর্মীরা পতাকা লাগাচ্ছিলেন, বিনা প্ররোচনায় তাঁদের মারা হয়েছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি রাজ্যের মানুষই বুঝতে পারছেন।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর