বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে বিএসএফ (BSF)র সীমান্ত এলাকায় কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সীমান্তে বিএসএফ-এর ক্ষমতা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এমনকি BSF-র এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব পাসও হয়ে যায় বিধানসভায়। ১১২ জন তৃণমূল (tmc) বিধায়ক এই বিষয়ের পক্ষে থাকলেও, ৬৩ জন বিজেপি (bjp) বিধায়ক এই প্রস্তাবের বিপক্ষেই ছিলেন।
বিধানসভায় এই ঘটনার তীব্র বিরোধীতা করেছিল বিজেপি শিবির। আর এবার বিএসএফের দফতরে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। তিনি বলেন, ‘১৬ তারিখ বিএসএফ ইস্যুতে বিধানসভায় চর্চা হয়। সেখানে ১- ২ জন বিধায়ক বিএসএফের সম্মানহানিও করেন। আর সেই কারণেই আমরা এখানে ক্ষমতা চাইতে এসেছি’।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘বিএসএফ হল আমাদের গৌরব। আপনাদের প্রণাম জানাই আমরা। জাত-রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে দেশের সেবা করে চলেছে এরা। গরু চুরির জন্য বাংলা বিখ্যাত হয়ে উঠেছে, সীমান্ত এলাকায় গোমাতার উপরে খুব অত্যাচারও করা হয়। গোমাতার জন্য গোশালা তৈরি করে এসব বন্ধ করা দরকার’।
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ মন্তব্য করেছিলেন, ‘যারা BSF-র অত্যচার চোখে দেখেনি, তাঁরা কোনোদিনও বিশ্বাস করতে পারবে না। BSF-র ক্ষমতা বাড়িয়ে দ্বৈত শাসন আনার চেষ্টা করছে বিজেপি। সীমান্তবর্তী এলাকায় যারা থাকেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন, BSF কী সেটা বুঝে যাবেন। সন্তানদের সামনে BSF তল্লাশি করার নামে তাঁর মায়ের গোপনাঙ্গে পর্যন্ত হাত দিয়ে দেয়’।
উদয়ন গুহের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিএসএফের স্পেশাল ডিজি, ইস্টার্ন কমান্ড, ওয়াইবি খুরানিয়া বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, ‘পেশাদার বাহিনী হওয়ায় সমস্ত নিয়ম মেনেই কাজ করে বিএসএফ। রাজ্য পুলিশের সমন্বয় করেই কাজ করা হয়। উদয়ন গুহের অভিযোগ প্রকৃতপক্ষে দুঃখজনক। প্রায় ৪ হাজার মহিলা কর্মী রয়েছেন আমাদের, সঙ্গে রয়েছে সিসিটিভিও। কারো কোন অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে কিংবা পুলিশের কাছেও যেতে পারেন। আইনশৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছি না আমরা’।