বাংলাহান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনে এই বাংলায় রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। বাংলায় বিজেপির (Bharatiya Janata Party) এমন দুরবস্থার জন্য এবার সিপিআইএমকে দুশলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সিপিএম নেতৃত্বের প্রতি রীতিমতো নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল রেড রোডে। শুভেন্দু অধিকারী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন বলেন, “সিপিএমের যে এজেন্ডা ছিল, সেই এজেন্ডা অনুযায়ী তারা সফল হয়েছে। তারা হিন্দু ভোট কাটার জন্য দাঁড়িয়েছিল। ওখানে সুজন, এখানে সায়ন, সব্যসাচীরা সবাই দাঁড়িয়ে পড়েছিল।”
আরোও পড়ুন : নির্বাচনের পরেই অ্যাকশন! হাইকোর্টের একটি রায়েই উড়ল ঘুম, রাজ্যে বাতিল সংরক্ষণ
বিরোধী দলনেতার কথায়, “এটা পিন্ডি জোটের কৌশল। পশ্চিমবঙ্গকে যারা ৩৪ বছর ধরে চেটে চেটে খেয়েছে, ৫৪ হাজার লোককে খুন করেছে, যারা সাঁইবাড়ি, নানুর, নন্দীগ্রাম, সূচপুর, আনন্দমার্গী সন্ন্যাসীদের পুড়িয়েছে, সব কলকারখানাতে তালা লাগিয়েছে, তাদের এজেন্ডায় তারা সফল হয়েছে। কিন্তু সময় কথা বলবে।”
আরোও পড়ুন : দেশের প্রিমিয়াম ট্রেনের খাবারে ভাসছে মরা আরশোলা! বন্দে ভারতের পরিষেবায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন যাত্রীরা
সেখানেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট ঘাস ফুলে গিয়েছে বলে ইঙ্গিত করেন তিনি। এবারে লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ১২ টি আসনে সিপিআইএম প্রার্থীরা ভোট কেটে ঘাসফুল শিবিরকে জয়লাভ করতে সহায়তা করেছে বলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অধিক একই কায়দায় পঞ্চাশটির বেশি আসনে তৃণমূল বিজেপি কে হারিয়ে জিতে গিয়েছিল। এর নেপথের বামেদের হাত আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শুভেন্দু। এক্ষেত্রে যাদবপুর, হাওড়া, দমদম, তমলুক বিধানসভার কথা উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে এবারে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী পান।
সেখানে প্রাক্তন বিচারপতি অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন। কিন্তু শুভেন্দুর উল্লেখ করা বাকি আসনগুলোতে জয় পেয়েছে তৃণমূল। যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সায়নী ঘোষ, দমদম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের হয়ে জয়লাভ করেছেন।