অভিষেকের নব জোয়ারের ভোট সামলাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা! প্রমাণ সহ চাঞ্চল্যকর টুইট শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দলের প্রার্থী বাছতে জেলায় জেলায় গণভোট করাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই ভোট সামলাচ্ছেন কারা? বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের গণভোটের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারেরই বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীদের।

শুভেন্দু এদিন টুইটারে লেখেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক ভোটাভুটির জন্য এখন শুধু পুলিসকেই নয়, সরকারি কর্মচারীদেরও ব্যবহার করছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল।’ এ ব্যাপারে নাম না করেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেককে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেছেন, ‘পিসি-ভাইপোর মিলিত আঞ্চলিক দল, সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত কর্মচারীর মতো ব্যবহার করছে।’

বুধবার শুভেন্দু তাঁর অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে একটি হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনের স্ক্রিনশট এবং সেই কথোপকথনে থাকা একটি তালিকা শেয়ার করেছেন টুইটারে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জলপাইগুড়ি সংগঠন শীর্ষক ৪৯ জনের একটি তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কর্মীদের ‘মাননীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে ডিউটি করতে হবে।’ এর সঙ্গে কোথায় কবে ঠিক ক’টার সময় ওই কর্মচারীদের ‘ডিউটি’ করতে হবে, তার বিশদও জানানো হয় ওই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায়।

তালিকায় প্রথমেই নাম ছিল সঞ্জয় সিংহ রায় নামে এক ব্যক্তির। শুভেন্দুর টুইটে অভিযোগ করেন এই ব্যক্তি জলপাইগুড়ির ডিএম অফিসের স্থায়ী কর্মী। ইনিই হোয়াটঅ্যাপে ওই তালিকা এবং নির্দেশ পাঠিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সঞ্জয়ের তালিকায় দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করা হলেও সেই ফোন কেউ ধরেনি। এর পরে অনেকেই সংবাদমাধ্যম থেকে ফোন করা হয়েছে শুনে ফোন কেটে দেন। পার্থপ্রতিম বসাক, শুভ্রজিৎ রায়, প্রসেনজিৎ সরকার নামে তিন জন ফোন ধরেন। এর মধ্যে প্রথম জন নিজের নাম স্বীকার করলেও কথা বলতে চাননি। বাকিদের মধ্যে শুভ্রজিৎ জানান, তিনি গোয়ালমারির পঞ্চায়েতের অফিসের আধিকারিক। তবে এমন তালিকা তিনি পাননি। অভিষেকের গণভোটে কোনও বিশেষ ‘ডিউটি’তেও যাননি। জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের পঞ্চায়েত কর্মী প্রসেনজিতেরও নাম ছিল তালিকায়। তিনিও জানান এ ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারে।

শুভেন্দু টুইটে লিখেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের এই তালিকাটি দেখুন। এঁদের শাসকদলের ভোটাভুটির কাজ সামলাতে বাধ্য করা হচ্ছে। হাস্যকর বিষয় হল, এক দিকে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীদের অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে, আবার সেই সরকারি কর্মচারীদেরই একাংশকে পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে যুবরাজের হাসি-খেলার জন্য।’


Sudipto

সম্পর্কিত খবর