বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) টানা দু’বছর জেল খাটার পর সদ্য জামিন পেয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এবারে মেয়েকে নিয়ে খুশি মেজাজে পুজো কাটিয়েছেন কেষ্ট। বুধবার থেকে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগদান করবেন তিনি। এরই মাঝে ফের কেষ্টর জেলযাত্রার প্রসঙ্গ তুলে জল্পনা উসকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে।
সোমবার সিউড়িতে দলের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘এখানকার তৃণমূলের জেলা সভাপতি ২ বছর জেল খেটে এসেছেন। অনুব্রত মণ্ডলকে যে ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাতে ৬ বছরের জেল হয়। তিনি ২ বছর জেল খেটেছেন, আরও ৪ বছর জেল খাটতে হবে। এখন সাময়িক বিরতি। ”
কেষ্টকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আপনি খুলতে পারেননি, পারেন না। কোনও সম্পত্তি আপনি কিনতেও পারবেন না, বেচতেও পারবেন না। টাকা চেয়ে চেয়ে আপনাকে কাজ চালাতে হবে। কাজল তুই কিছু দে, বিকাশ তুই কিছু দে….। তাই বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।’
শুভেন্দুর আরও বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় এখানের ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে, নিগ্রহ করা হয়েছে। এর জেরে অনেকে জেলে আছেন। যাদের চক্রান্তে এই খুন হয়েছে তাদের ডেকেছিল। রানা সিংকেও ডেকেছিল। কেউ গেছেন, কেউ যায়নি। এখনও ওই মামলাগুলোর ফাইনাল চার্জশিট হয়নি। বগটুইও সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তকারী এজেন্সি যে কোনও দিন সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দিতে পারে।’
বিরোধী দলনেতার আরও হুঁশিয়ারি, ‘মহম্মদবাজারে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধারের ঘটনায় অনেকে জেলে আছে। কেষ্টর নিরাপত্তারক্ষী সায়গলকে এই নিয়ে জেরা করা হয়েছিল। এরপর NIA কী করবে তা আমি জানি না।’
আরও পড়ুন: সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ‘দাদাগিরি’ বন্ধ! এই জায়গাগুলিতে আর ডিউটি নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সিবিআই আদালতে এই মামলা চলে। সেখানেই সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তৃণমূল নেতা। এরপর তিহাড় জেলে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় অনুব্রতকে। সেখানে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। এতদিন তিহাড়ে থাকার পর দুর্গাপুজোর ঠিক আগে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।