বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গে এই মুহূর্তে লাইমলাইটে “বন্দে ভারত এক্সপ্রেস” (Vande Bharat Express)। বছর শেষে বাংলার মানুষের জন্য খুশির হাওয়া বয়ে এনেছে বন্দে ভারত। তবে এতেও পিছু ছাড়লনা বিতর্ক। শুক্রবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে (Mamata Banerjee) ঘিরে বিজেপি (BJP) সমর্থকদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অন্যদিকে এই অবহেই বিতর্কের আগুনে আরও কিছুটা ঘি ঢাললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বিরোধী দলনেতাকে স্বীকারই করেন না, এমনই বিস্ফোরক দাবিতে সরব শুভেন্দু।
কিন্তু কেন এহেন দাবি? এদিনের বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যখন নিজের বক্তব্যে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের কথা বলছিলেন, সেই সময় পৃথকভাবে বিরোধী দলনেতার কথা উল্লেখ করেন তিঁনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী তেমনটা না করায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর বিরক্তি প্রকাশ করে তিঁনি বলেন, “কলাইকণ্ডায় যা করেছিলেন, এখানেও তাই করেছেন। এটা হল নন্দীগ্রামে হারার যন্ত্রণা। উনি বিরোধী দলনেতাকে স্বীকার করেন না। প্রধানমন্ত্রী যখন উল্লেখ করছেন, তখন উনি বলছেন জনপ্রতিনিধি। আমার কাছে হারের যন্ত্রণা এখনও তিনি ভুলতে পারেননি। ঠিক একই কাজ কলাইকুণ্ডায় করেছিলেন। আজও একইভাবে ড্রামা করলেন।” এখানেই থেমে থাকেননি বিরোধী দলনেতা। তিঁনি আরও বলেন, “উনি যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন, ততদিন এটি ভুগতে হবে। অত্যন্ত নিম্নরুচির , নিম্নমানের একজন রাজনীতিবিদ, যাঁকে বাংলার চল্লিশ হাজার লোক শহিদ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়ে দিয়েছেন। শুধু কম্পার্টমেন্টাল নয়, ওনাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আমি করব। এরপর এরকম অনুষ্ঠান আরও অনেক হবে, সেগুলি বাড়িতে বসে ওনাকে দেখতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝর ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করতে গতবছর কলাইকুণ্ডায় একটি সরকারি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। সেই বৈঠক সম্পূর্ণ না করেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়ে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিঁনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বেরিয়েছিলেন। পরবর্তী সময় এই বিতর্কের জল বহুদূর গড়ায়। এরপরই অবসর নিয়ে রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন আলাপন।
অন্যদিকে এদিন শুভেন্দুর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। বিরোধী দলনেতার মন্তব্যে পাল্টা তিঁনি বলেন, “ভারতীয় জোকার পার্টির সবথেকে বড় জোকারের ক্ষমতার দম্ভের বহিঃপ্রকাশ। তিঁনি নিজে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কোনওদিন বলতে পারবেন না, তিঁনি সঠিকভাবে জিতেছেন। তিঁনি নিজেও জানেন, তিঁনি লোডশেডিং করে জিতেছেন।”