বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার দিন নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা বাংলা। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) উদ্ধার বিপুল অস্ত্রভান্ডার (Explosion) বন্দুক, গুলি, বোমা থেকে বিস্ফোরক! আর সেই সব উদ্ধার করতে নামাতে হল এনএসজি-কে। রোবট নামিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হল বিস্ফোরক বোঝাই ব্যাগ। সিবিআই ও এনএসজি-র যৌথ অভিযানে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠের আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রভান্ডার। আর এই গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সন্দেশখালির ঘটনার পর গতকাল এক দলীয় সভা থেকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন শুভেন্দু। সেখান থেকেই একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, ‘যেসমস্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা বিদেশি, জঙ্গি সংগঠন সিমির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও তফাত নেই। এই ঘটনায় তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ করা উচিৎ।’ সেইসঙ্গে গোটা ঘটনায় পুলিশেরও ভূমিকা রয়েছে বলে সাফ দাবি করেন শুভেন্দু।
এদিকে বৃহস্পতিবার এক রাজনৈতিক সভা থেকে মমতা দাবি করেন, তিনিই শুভেন্দু অধিকারীকে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছেন। এদিন এই বিষয়েও ঝাঁঝলো প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি খারিজ করে পাল্টা শুভেন্দু বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে এসেছি সতীশ সামন্ত, অজয় মুখার্জি এদের দেখে। আমার বাড়ির লোক বিপিন অধিকারী আট বছর ব্রিটিশ জেলে ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়। ব্রিটিশকালে আমাদের পৈতৃক ভিটেতে তিনবার ব্রিটিশ পুলিশ আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। ওনার রাজনীতিতে আসার অনেক আগে ৭০ সাল থেকে শিশির অধিকারী কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। তারপর বিধায়ক।’
শুভেন্দু আরও বলেন, ‘আমি ৮৭ সালে কলেজে ঢুকে আমি ৮৮ থেকে সিআর। উনি ৯৮ সালে দল করেছে, আমি ৯৫ থেকে কাউন্সিলর। উনি প্রার্থী খুঁজে পেতেন না, আমি লড়তাম। উনি ২০০৩-১০ সাল পর্যন্ত যত গুলো তৃণমূলের সম্মেলন করেছেন তার মাছ-ভাতের দায়িত্বে থাকলেন শিশির অধিকারী। আর নন্দীগ্রাম না হলে উনি দিদি থেকে দিদিমা হতেন মুখ্যমন্ত্রী কোনো দিনই হতে পারতেন না।’
আরও পড়ুন: আজ থেকে টানা তিন দিন বৃষ্টি বাংলায়! কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
নাম না নিয়ে মমতাকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, ‘মা আর ব্যাটা এখানে কারোর কোনো রোল নেই। উনি যদি নিজের দমে মুখ্যমন্ত্রী হতেন তাহলে ২০০১ সালে হতে পারতেন। ওনার গদ্দারের উত্তরও নন্দীগ্রাম ২০২১ সালে দিয়েছে। উনি কলকাতা থেকে লাফিয়ে এসেছিলেন। যেদিন আমার নাম ধরে বলবেন মা, ব্যাটার ঘর থেকে বেরোনো আমি বন্ধ করে দেব।’