‘এই পুতনা রাক্ষসীর কাছ থেকে বাংলা যদি না বাঁচে…!’, ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে মমতাকে তুলোধোনা শুভেন্দুর

বাংলা হান্ট ডেস্ক : তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে ঘিরে গত রবিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঠাকুরনগর। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সেখানে পৌঁছতেই শুরু হয় বিক্ষোভ। তিনি ঠাকুরনগর থেকে বেরিয়ে আসার পরও মতুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর মহোদয়, সতীর্থ বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করতে আজ ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে গিয়েছিলাম। আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের নবজোয়ার কর্মসূচির আড়ালে যে বিশৃঙ্খলা ঠাকুরবাড়িতে সৃষ্টি করা হয়েছিল, যেভাবে ঠাকুরবাড়ির পবিত্র মাটিকে অপমান করা হয়েছে তা সবিস্তারে শুনলাম। ঘটনার দিন মমতার পুলিস ও স্থানীয় তোলামুলীদের অত্যাচারে আহত মতুয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ গুরুতর আহত হয়েছেন যে ৩জন তাদের মধ্যে ২ জন মাতৃশক্তি। তাঁদের প্রত্যেকের সাথে দেখা করে কথা বলে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির খবর নিলাম।’

এদিন তিনি আরও লেখেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণাবতার শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অপমান করেছিলেন, ওঁর ভাইপো কয়েক হাজার পুলিস নিয়ে নবজোয়ারের নামে ঠাকুরবাড়িতে এসে মতুয়াদের ভাবাবেগ কে আঘাত করেছেন। উল্টে তাঁদের উপর যে ভাবে পুলিসি অত্যাচার হয়েছে তার ফল আগামীদিনে পিসি ভাইপো আর তাদের তোলামুল কোম্পানি কে ভুগতে হবে।’

suvendu mamata
শুভেন্দুর অভিযোগ, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির জেরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে। এর ফলে ঠাকুরবাড়ির পবিত্র মাটিকে অপমান করা হয়েছে। তিনি জানান, এদিন পুরো ঘটনা সবিস্তারে শুনেছেন। ঘটনার দিন মতুয়া সম্প্রদায়ের যে তিন জন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলাও আছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির খবর নেন তিনি। মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

ঘটনার দিনই তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। ওই দিন দু’পক্ষের সংঘর্ষের পর বিজেপি নেতা-কর্মী সহ বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও ঘটনাস্থলে যান, পুলিস তাঁকেও মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের অনুগামীদের মধ্যেই সংঘর্ষ হয়েছিল বলে অভিযোগ।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর