বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের বিস্ফোরক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) যতদিন এই দুর্নীতিগ্রস্ত, সন্ত্রাসী শাসক দল ক্ষমতায় আছে, কোনদিনই কোন নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হবে না। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনও তার ব্যতিক্রম হবে না। বর্তমান সরকারের আমলে শাসক দলের সন্ত্রাসের হাত থেকে নিস্তার নেই বিরোধী দলের প্রার্থীদের।’
শুভেন্দু আরও লেখেন, ‘ভয়মুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠু ভাবে মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না বিরোধী প্রার্থীরা’। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়,’ বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড় – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও ক্যানিং – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক; বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর, পাত্রসায়র, ইন্দাস; বীরভূম জেলার লাভপুর ও নানুর; উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি – ১ এবং ২ নম্বর ব্লক ও মিনাখাঁ; হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর ও বাগনান – ২ নম্বর ব্লক সহ রাজ্যের অন্যান্য ব্লকে। বিডিও অফিস তথা মনোনয়ন কেন্দ্র গুলি সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।’
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু দাবি করেন,’ যারা আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না, তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিম্নলিখিত ইমেল আইডি-তে সবিস্তার বিবরণ সহ অভিযোগ দায়ের করুন। এরই সঙ্গে তিনি একটি লিঙ্কও দিয়ে দেন sec-wb@nic.in
গতকাল মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রার্থীদের দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যদি পুলিশ আর তৃণমূলীরা ভোট লুট করার পরিকল্পনা করে, তাহলে প্রতিরোধ আরও জোরদার হবে। যদি অবাধ ভোট হয় তাহলে শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম নয়, সব জায়গাতেই তৃণমূল প্রার্থীরা হারবে। পঞ্চায়েতে যে দুর্নীতি করেছে শাসকদল তাতে ওদের সঙ্গে জনগণ নেই, আছে শুধু পুলিস।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একযোগে নিশানা করে শুভেন্দু এ-ও বলেন, ‘গ্রাম বাংলার মানুষ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে নন্দীগ্রামের মতো অন্যত্রও তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।’
এদিন নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছন শুভেন্দু। আদালতের নির্দেশ মেনে সুষ্ঠ এবং অবহাধ নির্বাচন করানো, মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি, সন্ত্রাস বন্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন নিয়ে কমিশনে যান তিনি। তার আগে, এদিন দুপুরে নবান্নে পৌঁছন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।