বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের টুইট হামলা। এবার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূলের (Trinamool Congress) অস্তিত্বকেই চ্যলেঞ্জ করে বসলেন নিজের টুইটে। যেদিন থেকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা (All India Tag) লুপ্ত হয়েছে, সেদিন থেকেই জোড়াফুলকে ‘রিজিওনাল পার্টি’ বা আঞ্চলিক দল বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর এদিন টুইট করে সেই অস্তিত্বকেও মুছে দিতে চাইলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
কী লিখলেন শুভেন্দু? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ছবি শেয়ার করেন। তার উপরে তিনি লেখেন, ‘আঞ্চলিক দল তোলামূল কংগ্রেস গোয়া, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। তার ফল তারা হাতেনাতে পেয়েছে। মুছে গেছে তাদের সর্বভারতীয় তকমা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের প্রতীক চিহ্নকে আঞ্চলিক দল হিসাবেই নথিবদ্ধ করেছে।’
নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও লেখেন, ‘আমি আপনাদের কাছে শপথ করছি বঙ্গ বিজেপি তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেবে। এমন একটা দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে তাদের প্রার্থীরা বেরিয়ে এসে ফ্রী সিম্বল যেমন নৌকো, সাইকেল রিক্সা, নারকেল গাছ ইত্যাদি প্রতীক চিহ্ন নিয়ে নির্দল হয়ে লড়াই করবে। সেই দিনের আগে পর্যন্ত আমি বিশ্রাম নেব না।’
The Regional Tolamool Party tried to take on @BJP4India in Goa, Tripura & Meghalaya. The outcome is that they got derecognised as a National Party.
In this Panchayat Elections the Regional Tolamool Party got their electoral symbol reserved as a State Party.
I promise you this,… pic.twitter.com/4pFckTlEdm
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) June 15, 2023
গতকালই শুভেন্দু চাঞ্চল্যকর পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে। তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জী ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিততে চান তাই বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে আটকানো হচ্ছে। বসিরহাট, ক্যানিং ১নংও ২নং ব্লক, কোতুলপুর, পাত্রসায়ার, ইন্দাস, সিউড়ি, ভাঙড় – ১নং ও ২নং ব্লক, নানুর, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ সহ রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘নির্বাচন কমিশন কে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের পুলিস এই কাজে মমতা ব্যানার্জীর দোসর হিসেবে কাজ করছে। মহামান্য উচ্চ আদালতের রায় কেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই অনুপ্রাণিত চেয়ারম্যান অবজ্ঞা করছেন।’
এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু লেখেন, ‘আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হলে, আমরা প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে নিয়ে এসে মনোনয়ন জমা দেবো। রাজ্যে মমতা ব্যানার্জী জঙ্গলরাজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই জঙ্গলরাজ অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।’