বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে শাসক বনাম শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দ্বন্দ্ব। অতীতেও একাধিক সময় প্রশাসন এবং পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকে। এদিন সেই সূত্র ধরে শুভেন্দুর দাবি, “রাজ্যে ১৮ থেকে ২০ জন আইপিএস অফিসার রয়েছেন, যাদের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ। এদের পিছনে রাজীব কুমারের ঠ্যালা রয়েছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় দুর্নীতি মামলা এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলে একের পর এক কটাক্ষ করতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীকে। এদিন নন্দীগ্রামে ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের আইপিএস অফিসারদের আক্রমণ শানান বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “রাজ্যে ১৮ থেকে ২০ জন আইপিএস অফিসারদের দল রয়েছে, এদের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এছাড়াও বহু আশা কর্মী এবং আইসিডিএস পদের চাকুরীজীবীদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “এদেরকে ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা বেতন দেওয়া হয়। তার ওপর চাকরির কোন স্থায়িত্ব নেই। আমি যখন ওই দলে ছিলাম, তখন মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর সময়কালে প্রায় ৬ লক্ষ স্থায়ী চাকরি গিয়েছে। তার বদলে অস্থায়ী চাকরি দেওয়া হলেও বেশিরভাগ ছিল পার্টির ক্যাডার, যাদের কাজ হত তোলা তুলে বেড়ানো।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন কেবলমাত্র ঢপ দিয়ে চলেছেন। ওনার কথা কেউ বিশ্বাস করছে না। ভোটের আগে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল, ভারত সরকারের তরফ থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হল। ডবল চাকরির কথা বললেও তা কেউ পায়নি, বরং চাকরি গিয়েছে অনেকের।”
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট নিয়ে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের সঙ্গে নেই। যারা পাকিস্তান জিতলে বোম ফাটায়, কেবলমাত্র তারাই রয়ে গিয়েছে ওদের সঙ্গে।” এদিন সেই সূত্র ধরে তিনি বলেন, “যেসকল হিন্দু বুথগুলি রয়েছে, সেখানে ওরা কখনোই ভোট পাবে না। সবাই ওদের দুর্নীতি জেনে গিয়েছে।”