বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আসন্ন একাধিক পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এরই মধ্যে কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক সভায় মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করতেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
বিষয়টা হল, বহুবার অভিযোগ উঠেছে, নদিয়া জেলায় তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠী রয়েছে। অভিযোগ আছে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, নদিয়া উত্তর জেলা তৃণমূলের সভাপতি জয়ন্ত সাহা, তৃণমূল নেতা নরেশ সাহার সঙ্গে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মনোমালিন্য রয়েছে।
বুধবার নদিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশ্যে কিছু কড়া কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘এখানে একটা স্পষ্ট মেসেজ দিতে চাই মহুয়া। পক্ষে-বিপক্ষে কে রয়েছে তা দেখার দরকার নেই। দেখো লোক জোগাড় করে তাঁদের সাজিয়ে ইউটিউবে বা ডিজিট্যালে দিয়ে এলে, এধরনের রাজনীতি একদিন চলতে পারে রোজ চলতে পারে না। নির্বাচনের সময় দল ঠিক করবে কে কার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এই বিষয়ে কারো কোন মতপার্থক্য থাকা উচিৎ নয়’।
মুখ্যমন্ত্রী, মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিতেই তাঁর পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। সরব হয়ে জানালেন তৃণমূল ছাড়ার আসল কারণ। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আধিকারিক, জনপ্রতিনিধিদের প্রকাশ্যে অপমান করে নিজের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন এই মুখ্যমন্ত্রী। কোনও বোধবুদ্ধি নেই তাঁর। সকল মানুষেরই একটা আত্মসম্মান বোধ রয়েছে। লাইভ অনুষ্ঠানে তাঁকে অনেকেই দেখছেন, তাঁর বাবা মা দেখছেন। তৃণমূল ছেড়ে দেওয়ার পেছনে এটাও একটা বড় কারণ আমার’।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতৃত্ব নদিয়া গিয়ে জেলা নেতৃত্বের থেকে কৃষ্ণনগরের এই গোষ্ঠী দ্বন্ধের বিষয়ে অনেক অভিযোগ শুনে আসেন। এসব কিছুর উপর ভিত্তি করে এবার কিছুটা কড়া হাতে রাশ টানলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন যে দলের মধ্যে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, অন্তর্ঘাত একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।