বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ২১ জানুয়ারি হয়েছিল গ্রেফতার। এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকীর (Nawsad Siddique) গ্রেফতারির। বিধায়ক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তার সমর্থনে থাকতে দেখা যায় বিজেপিকে (BJP)। কিছুদিন আগে রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের প্রতিনিধিরাও আইএসএফ নেতার মুক্তির দাবি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। এই আবহেই এবার নওশাদের পাশে দাঁড়িয়ে তার মুক্তির দাবি তুললেন বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুক্রবার সাগরদিঘিতে (Sagardighi) উপনির্বাচনের প্রচারে যান বিরোধী দলনেতা। সেখানে দাঁড়িয়েই বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মুক্তির দাবি জানান তিনি। বলেন, “যেভাবে সিএএ-এনআরসি-র প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলন হয়েছিল, এবারও সেভাবেই আন্দোলন করতে হবে”। শুধু তাই নয়, নানা ইস্যু তুলে এদিন রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয় কিছুদিন আগেও রাজ্যেকে আক্রমণ করে নওশাদের সমর্থনে মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা। সেই সময় নওশাদকে ভাই সম্বোধন করে তিনি বলেন, ‘নওশাদ ভাইয়ের দম আছে, তাই তিনি আত্মসমর্পণ করেননি।’ বিজেপি নেতার নওশাদের সমর্থনে রুখে দাঁড়ানোতে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে নানা মহলে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই নওশাদ প্রসঙ্গে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, এতদিন জেলে নওশাদকে রাখার কোনও মানে হয় না।’ তবে শুক্রবার এই একই ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, “নওশাদকে নিয়ে আইন আইনের পথে চলবে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বিধায়ক হিসেবে প্রিভিলেজ পাবে ভাবার কোনো কারণ নেই।”
এদিন মুর্শিদাবাদ থেকে এই প্রসঙ্গ তুলেও সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। কড়া ভাষায় বলেন, ‘বিধানসভার অধ্যক্ষ হিসেবে বলেছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা হিসেবে বলেছেন সেটা আগে ভাবতে হবে। আর তার দয়ার দানে নওশাদ ভাইরা নেই। তারা উচ্চ আদালতে গিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি পাবেন।’
পাশাপাশি এদিন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশেও আন্দোলনে নামার বার্তা দেন শুভেন্দু। বলেন, ‘নওশাদ ভাইয়ের জন্য আন্দোলনটা করতে হবে। আপনারা তো রাস্তায় নেমে সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে মিছিল করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়েছিলেন। রাস্তায় নেমে নওশাদের মুক্তি করান। আমাদের শুভেচ্ছা আছে। আমরা সরাসরি যেতে পারব না, কিন্তু আমাদের শুভেচ্ছা আছে।’