বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২২ সালের জুলাই মাসের ঘটনা। লীনা মণিমেকলাই পরিচালিত তথ্যচিত্র ‘কালী’ নিয়ে বিতর্ক চলছে দেশে। সেই সময় তাঁর সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন কৃষ্ণনগরের তৎকালীন সাংসদ। মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) বলেছিলেন, তাঁর কাছে মা কালী হলেন মদ-মাংস খান এমন একজন দেবী। হিন্দু ধর্মে কালীকে ইচ্ছেমতো কল্পনার অধিকারের কথাও বলেও তিনি। তৃণমূল (TMC) নেত্রীর এই বক্তব্য জন্ম দেয় প্রবল বিতর্কের।
মাঝখানে কেটে গিয়েছে প্রায় দু’বছর। লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) আগে শনিবার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁদের ভাষণে ফের উঠে আসে মহুয়া মৈত্রের প্রায় দু’বছর পুরনো সেই মন্তব্য।
প্রধানমন্ত্রীর সভায় সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিতে দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘মনে আছে তো আমাদের আরাধ্য দেবী মা কালীকে অপমান করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। এবারের ভোটে ওই বক্তব্যের বদলা ইভিএমে নিতে হবে’। অন্যদিকে মহুয়ার নাম না নিয়েই তাঁকে নিশানা করেন সুকান্ত মজুমদার।
কৃষ্ণনগরের সভা (Krishnanagar Public Meeting) থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘এখানকার সাংসদ বলেছিলেন, মা কালী নাকি মদ খান! পাউডার, লিপস্টিকের লোভে নিজের লগ ইন পাসওয়ার্ড দিয়ে দেন সাংসদ। এরপরেও তৃণমূল তাঁকে জেলা সভাপতি করে রেখেছে’। এরপর সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সুকান্ত। তিনি জিজ্ঞেস করেন, ‘ওঁকে হারাবেন তো? প্রধানমন্ত্রী অনেক আশা নিয়ে এখানে এসেছেন। আপনার এখানে পদ্ম ফোটাবেন তো?’ জবাবে সমস্বরে ‘হ্যাঁ’ বলে ওঠেন উপস্থিত জনতা।
আরও পড়ুনঃ দুমাস কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? CID-র চাপে এই প্রথম মুখ খুললেন শাহজাহান! বললেন, এতদিন…
কিছুক্ষণ পরে মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠে জনতার কাছ থেকে উত্তর চান শুভেন্দু! সুকান্তর মতো তিনিও জিজ্ঞেস করেন, ‘কৃষ্ণনগর আমাদের দেবেন তো?’ প্রসঙ্গত, পাসওয়ার্ড কাণ্ডের জেরে মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ বাতিল করেছে সংসদীয় এথিক্স কমিটি। এই মুহূর্তে তিনি শুধুমাত্র তৃণমূলের নদিয়া জেলার সভাপতি পদে আসীন। এখনও অবধি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি তৃণমূল (Trinamool Congress)। তবে মহুয়া মৈত্রই যে ফের প্রার্থী হবে তা সম্প্রতি একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।