বাংলাহান্ট ডেস্ক : এনকাউন্টার ইস্যুতে এবার বনগাঁর বিধায়কের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এপিজে আব্দুল কালাম এবং আফজল গুরুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেই এই ব্যাপারে কিছু বলতে পারবেন তিনি।
বুধবার নদীয়ার কল্যাণীতে বিজেপির একটি কর্মীসভায় আক্রান্ত হন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি রামপদ দাস। এরপরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধে নামে বিজেপি। একটি অবরোধ কর্মসূচীতে সামিল হয়ে ক্ষমতায় এলে তৃণমূল কর্মীদের এনকাউন্টার করার হুমকি দেন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমাদের সভাপতিকে পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে মারতে চেষ্টা করা হয়েছে। যারা তালিবান শাসনে বিশ্বাসী তৃণমূলের সেই সব হার্মাদদের বলে দিতে চাই আমরা ক্ষমতায় এলে এই সব পুলিশ দিয়েই আপনাদের এনকাউন্টার করা হবে’। আর এই মন্তব্য ঘিরেই তৈরি হয় তীব্র বিতর্ক।
এবার এই এনকাউন্টার প্রসঙ্গে স্বপন মজুমদারের পাশে দাঁড়ালেন শুভেন্দু। বিধায়ক কোন প্রসঙ্গে এই কথা বলেছেন তা জেনেই তবে তিনি কিছু বলতে পারবেন এমনটাই জানান তিনি৷ তিনি বলেন, ‘তৃণমূল আমার অনেক মন্তব্য নিয়ে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝায়। তারা এটা বোঝাতে চায় যে আমি সব সংখ্যালঘুদের জেহাদি বলি। কিন্তু আমি এপিজে আবদুল কালামের মতন দেশপ্রেমিক মুসলিমদের আমি সম্মান জানাই। কিন্তু আফজল গুরুর মতন যারা দেশকে টুকরো টুকরো করতে চায় তাদের জেহাদি বলি। তাই বিধায়ক কোন প্রসঙ্গে এই কথা বলেছেন তা জানতে হবে’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বপন মজুমদারের এই বিতর্কিত মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছিলেন কুণাল ঘোষ। ‘উত্তরপ্রদেশের পুলিশদের দেখে বিজেপি নেতারা অভ্যস্ত। তাই যখন তখন এনকাউন্টারের কথা বলে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন কথা কেউ কীভাবে বলেন তা দেখেই আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি’, এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট