বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ, ১৪ মার্চ, নন্দীগ্রাম দিবস (Nandigram Day)। আদালতের নির্দেশ ছিল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে সভা করতে হবে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)। সকাল থেকেই অধিকারী পাড়ায় একদিকে কীর্তন এবং অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিন নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই নাম না করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা।
ঠিক কী বলেলেন শুভেন্দু অধিকারী? এদিন নন্দীগ্রাম থেকে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেককে বাক্যবাণ ছুঁড়ে বলেন, ‘সিপিএমকে সাফ করেছি। ২০২৪ সালের নন্দীগ্রাম দিবসের আগে পিসি–ভাইপোকে গ্যারেজ করে দেব। নন্দীগ্রামের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট নেতানেত্রীর আন্দোলন ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের। তৃণমূল এই এলাকা, শহিদ দিবস দখল করার চেষ্টা করেছিল। ”
তার সংযোজন, “এখানে সবার অধিকার আছে। সব রাজনৈতিক দলের আছে। সব মানুষের আছে। মানুষ খেতে পায় না, চাকরি পায় না। এই গ্রামের ১০০ ছেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কর্ণাটকে, গুজরাতে গিয়ে, না খেয়ে ফ্লাইওভারের নীচে রাত কাটায়। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র ধ্বংস। আগামী বছর দেখা হবে, ভাইপো বাইরে থাকবে নাকি ভিতরে থাকবে?”
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ জমি রক্ষারআন্দোলনে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় পুলিশের গুলিতে ১৪ জন কৃষক প্রাণ হারান। সেই দিনটির স্মরণেই তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি আজ পৃথকভাবে গোকুলনগর ও ভাঙাবেড়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেই সভাস্থল থেকেই এদিন তৃণমূলের মমতা ও অভিষেককে কড়া নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা।
অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শুভেন্দুর সভা শেষে , সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে নন্দীগ্রামের সভা করার অনুমতি মিলেছে শাসকদল তৃণমূলের। নন্দীগ্রামে যাওয়ার পথেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya) শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে বললেন, ”এই কথা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, শহিদদের প্রতি তাদের কতটা শ্রদ্ধা আছে। আজকের দিনে এ ধরনের কথা যত কম বলা যায়, ততই ভাল। যারা এসব বলছেন, তারা নিজেরা কবে গ্যারেজড হয়ে যাবেন, জানেন না।”